মহানগর বিএনপির ৩ দিনের কর্মসূচি

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ২৯ মে শুরু হয়ে ৩১ মে পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর আত্মত্যাগকে স্মরণে রাখতে এবারের কর্মসূচিকে তারা ভিন্ন মাত্রা দিতে চান।
নগর বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২৯ মে রাঙ্গুনিয়াস্থ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নগরে গমন ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। ৩০ মে শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল এবং মাইকে শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ প্রচার, আলোচনা সভা ও সার্কিট হাউজে জিয়া স্মৃতি যাদুঘরে কোরআন খাতম এবং গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ। এবং শেষদিন (৩১ মে) মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে গরীব ও অসহায় ছাত্রদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড নেতারাও যুক্ত থাকবেন।
৩০ মে জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন, আদর্শ, ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর অবদান নিয়ে আলোচনা সভা আয়োজন করা হবে। সভাটি নগরের বড় কোনো কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে স্থান নির্ধারণের কাজ চলছে। বিএনপি চায়, সাধারণ জনগণ, ছাত্র-যুব সমাজ, প্রবীণ ও নবীন নেতাকর্মীরা এতে অংশ নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতির অবদান সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানুক।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রতীক। তার শাহাদাতবার্ষিকীতে আমরা এমন কর্মসূচি নিতে চেয়েছি, যাতে সাধারণ মানুষও সরাসরি যুক্ত হতে পারে। আলোচনা সভার জন্য এমন স্থান খোঁজা হচ্ছে, যেখানে বেশি সংখ্যক মানুষ একত্রিত হতে পারবেন। তিনি বলেন, তিনদিনের কর্মসূচিতে আলোচনা সভা ছাড়াও খাবার বিতরণ, মিলাদ মাহফিল, খতমে কোরআন, জিয়ার ভাষণ প্রচারের আয়োজন থাকবে। তাছাড়া আমরা জিয়া নগরে যাত্রা করবো।
এদিকে গত মঙ্গলবার ঢাকার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা শেষে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২৬ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে আটদিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। জানানো হয়, ৩০ মে সকালে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দেশব্যাপী মিলাদ মাহফিল হবে। ২৯ মে বিকেল ৩টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানান, যেহেতু ৭ জুন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে, তাই সময় বিবেচনায় কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচনা সভা, দুস্থদের মধ্যে চাল-ডাল ও বস্ত্র বিতরণ, পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো পতাকা উত্তোলন, মসজিদে দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একদল বিক্ষুব্ধ সদস্যের হাতে শহীদ হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এরপর থেকেই বিএনপি দিনটিকে শহীদ রাষ্ট্রপতির শাহাদাত দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।