মিতা পোদ্দার
পথ চলতে গিয়ে যে কেউ ব্যর্থতার চোরাবালিতে হারাতে পারে। সফল ও ব্যর্থ মানুষের মধ্যে কোনো বাহ্যিক বা কাঠামোগত অথবা শারীরিক কোনো পার্থক্য নেই। প্রত্যেকেরই সমান সংখ্যক হাত-পা-মাথা রয়েছে, পার্থক্যটা দৃষ্টিভঙ্গিতে। সততা, আদর্শ, আত্মবিশ্বাস, দায়িত্বশীলতা, অধ্যবসায় আর পরিশ্রম মানুষের স্বপ্ন পূরণের পথ সহজ করে দেয়। মানুষকে সেখানেই নিয়ে যায়, যেখানে সে যেতে চায়। বাধাকে বড় মনে না করে সেই কাজে লেগে থাকলে সফলতা আসবেই। নিজের স্বপ্নটাকে স্বচ্ছ সুন্দর রাখলে আর পরিশ্রম দিয়ে তা অর্জন করতে চাইলে স্বপ্ন পূরণ হবেই। স্বপ্ন মানুষ দুইভাবেই দেখে- জেগে এবং ঘুমে। ঘুমিয়ে যে স্বপ্ন দেখা হয় সেটা কখনোই পূরণ করা সম্ভব না। জেগে বসে সজাগ মস্তিষ্ক যে স্বপ্ন দেখে সেটাই স্বপ্ন’। স্বপ্ন পূরণ করতে হলে জেগে স্বপ্ন দেখে তা পূরণের জন্য অবিরত সংগ্রাম করে যেতে হবে। নিমগ্ন সাধনা যদি ঠাঁই পায় কারও জীবনে তাকে আর হার মানতে হবে না ব্যর্থতার কাছে।
সাফল্য পদচুম্বন করবেই। যে সাধনায় লিপ্ত থাকে সেই জয় করতে পারে লক্ষ্য। জীবন যদি লক্ষ্যহীন হয় তাহলে ব্যর্থতার জন্য আর আলাদা আয়োজন করতে হয় না। লক্ষ্যে পথচলা যেমন সহজে এবং দ্রুত মানুষকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়, লক্ষ্যহীন পথচলা তেমনি কঠিন করে তোলে গন্তব্যে পৌঁছাকে।জীবনে চলার পথে হাজারো চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আমরা জীবন সাজাই। তবে আসলে পূরণ হওয়ার নয়। তাই জীবনে সফলতা যেমন থাকবে তেমনি ব্যর্থতাও। জীবনে মূলত তিনিই সফল যিনি ব্যর্থতার ছাই থেকে নিজেকে টেনে তুলতে পারেন। তবে সাফল্যের পথে রয়েছে হাজারো বাধা ও মরীচিকা। স্বপ্ন এবং প্রচেষ্টাই পারে মানুষকে তার গন্তব্যে নিয়ে যেতে। তখন চারপাশের বাধা আর বাধা মনে হয় না। কোনো প্রতিবন্ধকতাই মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারেনা। জীবনে যারা জেগে বসে স্বপ্ন দেখে, পৃথিবীতে তারাই একদা মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
লেখক : প্রাবন্ধিক