সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আযহারী
ভূমিকা : মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর, ইমানদারদের আশ্রয়স্থল এবং ইসলামী সমাজের আত্মিক কেন্দ্র। এটি শুধু নামাজের স্থান নয়, বরং আদব, শিষ্টাচার ও তাকওয়ার অনুশীলনের পাঠশালা। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মুসলমান মসজিদে সমবেত হয়ে ছালাত আদায় করেন, যা ঈমানের পর সর্বোচ্চ ফরয ইবাদত। কোরআন ও হাদিসে মসজিদের মর্যাদা, আদব এবং এর আবাদ সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মসজিদ নির্মাণ যেমন ফযীলতপূর্ণ, তেমনি এর আদব রক্ষা করা অন্তরের তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ। এই আলোচনায় আমরা মসজিদের গুরুত্ব, আদব ও মুসলমানের মসজিদকেন্দ্রিক জীবনচর্চার তাৎপর্য তুলে ধরব।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে মসজিদের মর্যাদা ও গুরুত্ব : ইসলামী শরী‘আতে মসজিদের মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। এটি শুধু নামাজের স্থান নয়, বরং মুসলিম সমাজের ঐক্য, শিক্ষা, আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়ার অনুশীলনের কেন্দ্র। কোরআন ও হাদিসে মসজিদের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বহুবার আলোচনা এসেছে।
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, “মসজিদসমূহ আল্লাহরই জন্য। সুতরাং আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাউকে ডেকো না।” (সূরা আল-জিন: ১৮)
তিনি আরও এরশাদ করেন, “নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করে, যারা আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।” (সূরা আত-তাওবাহ: ১৮)
তিনি আরও এরশাদ করেন, “মসজিদসমূহে, যেগুলিকে আল্লাহ মর্যাদামন্ডিত করার ও সেখানে তাঁর নাম স্মরণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর তাসবীহ পাঠ করে এমন লোকেরা থাকে, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল করতে পারে না।” (সূরা নূর: ২৪:৩৬–৩৭)
তিনি আরও এরশাদ করেন, “আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করলে, তা তার হৃদয়ের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ।” (সূরা হজ্ব: ২২:৩২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্থান হলো মসজিদ, আর সবচেয়ে অপছন্দের স্থান হলো বাজার।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস: ৬৭১)
তিনি আরও বলেন: “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করেন।” (তিরমিজি, হাদিস: ৩২৬)
তিনি আরও বলেন: “যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল মসজিদে যায়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অতিথি হওয়ার ব্যবস্থা করেন।” (সহীহ বুখারি)
বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন চারটি মসজিদ আল্লাহ তা‘আলা কিছু মসজিদকে বিশেষভাবে মর্যাদা দিয়েছেন :
১. মসজিদে হারাম (মক্কা শরীফ) ২. মসজিদে নববী (মদিনা শরীফ) ৩. মসজিদে আক্বছা (ফিলিস্তিন) ৪. মসজিদে ক্বোবা (মদিনা শরীফ) এই চারটি ব্যতীত পৃথিবীর অন্যান্য সকল মসজিদের মর্যাদা সমান, তবে প্রতিটি মসজিদই আল্লাহর ঘর হিসেবে সম্মানিত।
মসজিদ আল্লাহর ঘর : আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীর সকল মসজিদকে নিজের ঘর বলে অভিহিত করেছেন। এজন্য মসজিদকে বলা হয় ‘বায়তুল্লাহ’। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তাঁর স্ত্রী হাজেরা ও সন্তান ইসমাঈল আলাইহিস সালামকে কা‘বা ঘরের পাশে রেখে দো‘আ করেছিলেন: “হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার সন্তানদের একাংশকে তোমার এ পবিত্র গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় রেখে যাচ্ছি। ” (সূরা ইবরাহীম: ১৪:৩৭)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যখনই কোন একদল মানুষ আল্লাহর ঘরসমূহের কোন এক ঘরে সমবেত হয়ে আল্লাহর কিতাব পাঠ করে ও অধ্যয়ন করে, তখন তাদের উপর প্রশান্তি নেমে আসে, রহমত তাদেরকে আচ্ছাদিত করে, ফেরেশতাগণ তাদের পরিবেষ্টন করে এবং আল্লাহ তাদের কথা ফেরেশতাদের মাঝে আলোচনা করেন।” (সহীহ মুসলিম)
সাঈদ বিন যুবায়ের (রহঃ) বলেন: “পৃথিবীতে মসজিদসমূহ আল্লাহর ঘর। এগুলো আসমানবাসীদের জন্য আলোকিত করে যেমনভাবে আকাশের তারাগুলো দুনিয়াবাসীদের জন্য আলোকিত করে।”
মসজিদের একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআলা : যদিও আল্লাহ সমস্ত সৃষ্টির মালিক, তবুও মসজিদকে বিশেষভাবে তাঁর নামে সংরক্ষিত করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন: “তারা যেন ইবাদত করে এই গৃহের মালিকের।” (সূরা কুরায়শ: ১০৬:৩) “নিশ্চয়ই মসজিদসমূহ কেবল আল্লাহর জন্য। অতএব আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে আহবান করো না।” (সূরা জিন: ৭২:১৮) “তার চাইতে বড় যালেম আর কে আছে যে আল্লাহর মসজিদে তাঁর নাম উচ্চারণে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে ধ্বংস করতে চায়?” (সূরা বাক্বারাহ: ২:১১৪)
পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম স্থান : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আল্লাহর কাছে সবচাইতে প্রিয় স্থান হলো মসজিদসমূহ, আর সবচাইতে অপছন্দনীয় স্থান হলো বাজার।” (সহীহ মুসলিম)
নামায আদায়ের স্থান: নামায ঈমানের পর সর্বোচ্চ ফরয ইবাদত। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম ছালাতের হিসাব নেওয়া হবে। আর এই ছালাত আদায়ের প্রধান স্থান হলো মসজিদ। আল্লাহ বলেন: “আল্লাহর ঘরগুলোতে, যেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর নাম স্মরণ করা হয়, সেখানে এমন লোক থাকে যারা ব্যবসা-বাণিজ্যে গাফেল না হয়ে ছালাত কায়েম ও যাকাত আদায় করে।” (সূরা নূর: ২৪:৩৬-৩৭)
মসজিদের আদব রক্ষা তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ : মসজিদ আল্লাহর ঘর, ইসলামের অন্যতম নিদর্শন এবং মুত্তাকীদের আশ্রয়স্থল। তাই এর আদব রক্ষা করা শুধু সামাজিক শিষ্টাচার নয়, বরং অন্তরের তাকওয়ার প্রকাশ। আল্লাহ বলেন:
“আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করলে, তা তার হৃদয়ের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ।” (সূরা হজ্ব: ২২:৩২)
মসজিদের আদবসমূহ : মসজিদে প্রবেশ ও অবস্থানের সময় কিছু আদব ও শিষ্টাচার অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। নিচে মসজিদের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ আদব তুলে ধরা হলো:
মসজিদে যাওয়ার আগে মিসওয়াক করা : নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যদি আমার উম্মতের কষ্ট হবে মনে না করতাম, তবে আমি তাদের আদেশ দিতাম, যেন প্রত্যেক নামাযের সময় মিসওয়াক করে। (বুখারী-৮৮৭)
উত্তম ও ভালো মানের পোশাক পরিধান করে মসজিদে যাওয়া: আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে আদম সন্তানেরা তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় নিজেদের শোভা অবলম্বন কর। (সূরা আ‘রাফ: ৩১) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, “তোমরা পারলে কাজের পোশাক ছাড়া জুমার জন্য অতিরিক্ত একজোড়া জামা রাখবে।” (আবু দাউদ-১০৭৮)
১. কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন, বিড়ি-সিগারেট ও দুর্গন্ধযুক্ত দ্রব্য খেয়ে মসজিদে না আসা: নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি এই দুর্গন্ধযুক্ত খাবার (অর্থাৎ পেঁয়াজ-রসুন) খাবে, সে যেন (তা থেকে মুক্ত না হয়ে) আমাদের মসজিদে না আসে। কেননা দুর্গন্ধের কারণে মানুষের মতো ফেরেশতাদেরও কষ্ট হয়। (মুসলিম-৫৬৪)
২ . মসজিদে যাওয়ার সময় দুআ: প্রথমে ঘর থেকে বের হওয়ার এ দুআ পড়বে: (উচ্চারণ) “বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহি, লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।” (অনুবাদ) “আল্লাহর নামে বের হলাম। আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আল্লাহ তাআলার তাওফীক ছাড়া পাপ পরিহার করার এবং নেক কাজ করার শক্তি নেই।” (তিরমিযী-৩৪২৬)
৩. ধীর-স্থিরভাবে মসজিদে গমন করা; দৌড়ে যাওয়া অনুচিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, “তোমরা নামাজে অবশ্যই ধীর-স্থিরতার সঙ্গে আসবে। যতটুকু পাবে, আদায় করবে। আর যতটুকু ছুটে যাবে, পূর্ণ করবে।” (বুখারি-৬০৯)
৪. ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা এবং বাম পা দিয়ে বের হওয়া ও দোয়া-দরুদ পাঠ করা। ইতিকাফের নিয়তে , অজু অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা ও অজু অবস্থায় মসজিদে থাকার চেষ্ঠা করা: নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, নামাযের স্থানে বসা ব্যক্তির জন্য ফেরেশতাগণ মাগফিরাত ও রহমতের দুআ করতে থাকে, যতক্ষণ না তার ওযু চলে যায় বা উঠে যায়। (বুখারী-৪৪৫)
৫. মসজিদে প্রবেশকালে দোয়া: মসজিদে প্রবেশকালে প্রথমে বিসমিল্লাহ, তারপর দরুদ শরীফ ও দোয়া পাঠ করা। (উচ্চারণ) “বিসমিল্লাহি, ওয়াস্-সালাতু ওয়াস্-সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহি, আল্লাহুম্মাগফির লি যুনূবি, ওয়াফতাহ্ লি আবওয়াবা রাহমাতিকা।” (অনুবাদ) “আল্লাহর নামে (প্রবেশ করছি), রাসূলুল্লাহর প্রতি দরূদ ও সালাম। হে আল্লাহ! আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাগুলো খুলে দিন।”
৬. আর মসজিদ থেকে বের হবার সময় বলবে, (উচ্চারণ) “বিসমিল্লাহি, ওয়াস্-সালাতু ওয়াস্-সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহি, আল্লাহুম্মাগফির লি যুনূবি, ওয়াফতাহ্ লি আবওয়াবা ফাদলিকা।” (অনুবাদ) “আল্লাহর নামে (বের হচ্ছি), রাসূলুল্লাহর প্রতি সালাম ও দরূদ। হে আল্লাহ! আমার গুনাহগুলো ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার অনুগ্রহের দরজাগুলো খুলে দিন।”
৭. মসজিদে প্রবেশ করে (যদি নিষিদ্ধ ও মাকরূহ ওয়াক্ত না হয়) সম্ভব হলে দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ আদায় করা: নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, “তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, সে যেন বসার আগেই দুই রাকাত নামায পড়ে।” (বুখারী-৪৪৪)
৮. মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং নিজেও এই কাজে অংশগ্রহণ করা: নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার উম্মতের আমল আমার সামনে পেশ করা হয়েছে, এমনকি কেউ মসজিদ থেকে ময়লা পরিষ্কার করলেও।” (আবু দাউদ: ৪৬১)
৯. মসজিদে দুনিয়াবি আলোচনা ও গল্পগুজব না করা ও মসজিদে উচ্চস্বরে কাউকে ডাকাডাকি না করা; প্রয়োজনে ইশারায় বোঝানো। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “সাবধান! (মসজিদে) বাজারের মতো শোরগোল করো না।” (মুসলিম-৪৩২)
১০. হেঁটে মসজিদে যাওয়া এবং বেশি পদচারণার মাধ্যমে সওয়াব অর্জন করা ও মসজিদে বেশি সময় অবস্থান করা, আজান শোনার পর মসজিদে থাকলে নামাজ আদায় না করে বের হয়ে না যাওয়া এবং নামাজের আগে উপস্থিত হওয়া: নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কষ্টকর অবস্থায়ও অজু করা, মসজিদের দিকে বেশি পদচারণা এবং এক নামাযের পর অন্য নামাযের জন্য অপেক্ষা করাÑএগুলো গুনাহ মোচন করে ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে।” (মুসলিম: ২৫১)
প্রথম কাতারে নামাজ পড়া এবং মসজিদে আগে আসার গুরুত্ব সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আযান ও প্রথম কাতারের ফযীলত যদি মানুষ জানত, লটারি করে হলেও তা অর্জনের চেষ্টা করত। আর আগে আগে মসজিদে যাওয়ার লাভ যদি তারা জানত, তবে (কে কত আগে মসজিদে যেতে পারে) তার প্রতিযোগিতা করত।” (বুখারী-৬১৫; মুসলিম-৪৩৭)
১১. মসজিদে নিজের জন্য স্থান নির্দিষ্ট না করা: শরীয়তের বিধান হল প্রাপ্তবয়স্করা সামনের কাতারে দাঁড়াবেন আর ছোটরা পেছনে। আর শরয়ী বিষয়ে যারা জ্ঞানী, তারা ইমামের কাছাকাছি দাঁড়াবেন। (মুসলিম-৪৩২)
এছাড়া যে আগে আসবে সে আগে স্থান পাবে, যে পরে আসবে সে পেছনে বসবে। একবার নবীজী খুতবা দিচ্ছিলেন; এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি মানুষজনকে ডিঙিয়ে সামনে আসছিল। তখন নবীজী বললেন, (তুমি যেখানে আছ, ওখানেই) বসো, তুমি তো মানুষকে কষ্ট দিয়ে দিলে! (নাসায়ী-১৩৯৯)
১২. মসজিদে অবস্থানকালে যিকির, তাসবিহ, তাহলিল ইত্যাদিতে সময় ব্যয় করা। দুনিয়াবী কাজে মসজিদের ব্যবহার না করা: নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মসজিদে কাউকে হারানো জিনিসের এলান করতে দেখলে বলবে, আল্লাহ তোমাকে এই জিনিস ফিরিয়ে না দেন। মসজিদ তো এজন্য বানানো হয়নি! ( মুসলিম-৫৬৮) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা কাউকে মসজিদে বেচাকেনা করতে দেখলে বলবে, আল্লাহ তোমাকে লাভবান না করুন।” (তিরমিযী-১৩২১)
উপসংহার : মসজিদ শুধু ইবাদতের স্থান নয়, বরং এটি মুসলিম সমাজের ঐক্য, শিক্ষা ও আত্মশুদ্ধির কেন্দ্র। কোরআন ও হাদিসে মসজিদের মর্যাদা, আদব ও ফযীলত সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তাই একজন মুসলমানের দায়িত্ব হলো মসজিদকে সম্মান করা, এর আদব রক্ষা করা এবং তাকওয়ার সঙ্গে এর আবাদে অংশগ্রহণ করা। মসজিদের প্রতি ভালোবাসা ও শিষ্টাচারই একজন মুত্তাকীর পরিচয়।
সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
লেখক : বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ,
সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় খতীব, মুসাফিরখানা জামে মসজিদ











