মমতার কেন্দ্র ছাড়া বাকিগুলো বাদ

8

পশ্চিমবঙ্গের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে এবং ওড়িশ্যার একটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। ফলাফল প্রকাশ হবে ৩ অক্টোবর। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি হওয়া আশঙ্কা দূর হলো।
তবে ভবানীপুর ও মুর্শিদাবাদের দুইটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হলেও রাজ্যে আরো চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে না। মমতা এবার নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা ভোটে লড়ে হেরে যান শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তারপর তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। নিয়মানুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের কোনো বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাকে জিতে আসতে হবে। না হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। মমতা যাতে জিতে আসতে পারেন, সেজন্য তৃণমূল নেতা ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করেছেন। মমতা ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যে তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। সেগুলো হলো-ভবানীপুর এবং মুর্শিদাবাদের দুইটি কেন্দ্র, যেখানে প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোট বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ওড়িশ্যার একটি কেন্দ্রেও বিধানসভার উপনির্বাচন হবে। কিন্তু দেশজুড়ে আরো ৩২টি বিধানসভা ও তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন কখন হবে তা জানায়নি কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশ্যার করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে, বন্যা পরিস্থিতিও নেই। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এছাড়া উৎসব ও বন্যার জন্য এখন সেখানে উপনির্বাচন করা সম্ভব নয়। অনেক রাজ্য করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনার কথাও বলছে, তাই সেসব জায়গায় উপনির্বাচন হবে না।
কমিশন জানিয়েছে, সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধের কথা বিবেচনা করে তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নন্দীগ্রামে মমতাকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, দল বললে তিনি ভবানীপুর থেকেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়বেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। তিনিও বলেছেন, দল চাইলে তিনি লড়তে রাজি। তবে ভবানীপুর হলো তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। সেখানে বিজেপি গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে হেরেছিল।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, খড়দহ, দিনহাটা, শান্তিপুর কিংবা গোসাবার মানুষের প্রতিনিধিত্ব নাইবা থাকুক। এদের উপনির্বাচন জরুরি নয়। রাজ্যজুড়ে পুর-নির্বাচন হয়নি বছরের পর বছর, বেআইনি পুরসভা চলছে। তাতে কী? নন্দীগ্রামে পরাজিত বিধায়কের ভবানীপুরের নির্বাচনটাই একমাত্র জরুরি। কী সুন্দর বন্দোবস্তÍ সব!