‘মনোনয়ন পেয়েছেন’ এমন খবর গুজব

1

পটিয়া প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া মনোনয়ন সংক্রান্ত গুজব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলীয় নেতৃত্ব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং অনলাইন মিডিয়ায় চলমান অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে দলটির দক্ষিণ জেলা কমিটির আহব্বায়ক। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক মো. ইদ্রিচ মিয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এতে বলা হয়েছে, দলের হাইকমান্ড এখনও চট্টগ্রাম দক্ষিণের ৬টি সংসদীয় আসনে কোনো মনোনয়ন চূড়ান্ত করেনি। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের এলাকায় অমুক-তমুক ভাইকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে যে প্রচারণা চলছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর। আমরা হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছি যে, এখনও কোনো আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এসব অপপ্রচারের উদ্দেশ্য হলো আমাদের সমর্থকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।
আরও বলা হয়েছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তখনই স্পষ্ট হবে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, এসব গুজবে কান না দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করার জন্য কাজ করুন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. ইদ্রিচ মিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ভিত্তিহীন এমন তথ্য ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে ধানের শীষের জয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করতে হবে। যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা দলের ঐক্য বিনষ্ট করতে চায় তাদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি নেতৃবৃন্দের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীল আচরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন জেলা বিএনপির এ নীতিনির্ধারক।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দলীয় কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এসব গুজব আমাদের ঐক্যকে দুর্বল করার চেষ্টা। আমরা হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি এবং সবাই মিলে লড়াই করব।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, আগামি নির্বাচনে বিএনপির কৌশলগত প্রস্তুতি চলছে। মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের পরই এলাকায় প্রচারণা জোরদার করা হবে।
অন্যদিকে, সামাজিক মাধ্যমে এই গুজব ছড়ানোদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা চট্টগ্রামের রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে নির্বাচনী প্রস্তুতির মধ্যে দলীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।