মধ্য গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, নিহত ১৭

1

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ইসরায়েলি বাহিনী কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বোমাবর্ষণ বাড়িয়েছে এবং উত্তর ও দক্ষিণে ট্যাংকগুলো আরও গভীরে প্রবেশ করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। উত্তর গাজা উপত্যকায় বেইত লাহিয়ায় কামাল আদওয়ানের একটি বাড়িতে ও হাসপাতালের কাছে দুটি পৃথক বিমান হামলায় ছয়জন এবং দক্ষিণে খান ইউনিসে একটি মোটরসাইকেল বোমা হামলায় আরও চারজন নিহত হয়েছেন।
গাজা উপত্যকার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের একটি নুসেইরাতের একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বিমানগুলো। মসজিদের বাইরের রাস্তাগুলোতেও বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে সেনারা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই সব হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, নুসিরাতের পশ্চিমাঞ্চলে ট্যাংকের গোলাগুলিতে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নারী ও অপরজন শিশু। এছাড়া, কাছাকাছি একটি বাড়িতে বিমান হামলায় আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আরও গভীরে প্রবেশ করেছে ট্যাংকগুলো। রাতভর গাজায় ও বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে লড়াইয়ের বিষয়ে ইসরায়েলের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করার লক্ষে গাজায় ১৩ মাস ধরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত হামলায় প্রায় ৪৪ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার কর্মকর্তাদের মতে, অন্তত একবার করে হলেও গাজার প্রায় সব বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র যোদ্ধাদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। ইসরায়েলের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় দেশটির ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হন এবং আরও প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান যোদ্ধারা। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েক মাস প্রচেষ্টায় সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। তবে এই আলোচনা এখনও আটকে আছে।