নিজস্ব প্রতিবেদক
আশ্বিনের মধ্য ভাগে এসে আকাশের মুখ গোমরা। শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর মত সাদা মেঘের ভেলার বদলে ভর করে আছে কৃষ্ণ-মেঘ। তাতে দিনভর নগরীসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের খবরও মিলেছে। দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে পথচলতি নগরবাসীকে। সাথে ছিল গগনে মেঘের গর্জন। ভর দুপুরে বিকট শব্দে মূহুর্মূহু বজ্রপাতে কান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড়। নিচু এলাকায় সৃষ্টি হয় জলজট। সন্ধ্যার পরও অব্যাহত ছিল শরতের বৃষ্টির উৎপাত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও দেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রামসহ দেশের চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার সর্তক বার্তায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ভারী বর্ষণ সম্পর্কিত অপর এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী চব্বিশ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমি ধসের শঙ্কাও রয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই মেঘলা ছিল চট্টগ্রামের আকাশ। এদিন দুপুর ১২টার পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী চব্বিশ ঘন্টায় চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় দেশের সর্বোচ্চ ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।