মুহাম্মদ আয়াজ, কর্ণফুলী
পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ) ঘিরে মইজ্জ্যারটেক পশুরহাট প্রস্তুতের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। হাটটি সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ইজারাদাররা। এবার মইজ্জ্যারটেক সিডিএ আবাসিক গরু বাজারটি (হাট) জমজমাট হবে, এমন আশা ইজারাদার ও বিক্রেতাদের।
ঈদের বাকি এখনও দুই সপ্তাহের বেশি সময়। এর মধ্যেই হাটটি সাজানো হচ্ছে। ইজারাদাররা ইতিমধ্যে বেশিরভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিরাপত্তাসহ অন্যান্য আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার বিকালে পশুরহাটে দেখা গেছে, হাটের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। চলছে প্যান্ডেলের বাঁশ ও লাইট লাগানোর কাজ। বিভিন্ন ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ জনেরও বেশি কর্মী কাজ করছেন। তারা জানান, এক সপ্তাহ আগে কাজ শুরু হয়েছে। বাঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে গরু রাখার শেড। চলছে ওয়াচ টাওয়ার, ও মোবাইল ব্যাংকিং বুথ নির্মাণের কাজ। এছাড়া বিভিন্ন খামারের লোকজন এবং ব্যবসায়ীরাও তাদের নির্ধারিত জায়গাগুলোতে কাজ করছেন।অন্যদিকে পশুরহাট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বড় বড় গেট তৈরি করা হচ্ছে। গেটে চলছে আলোক সজ্জার কাজও।
ইজারাদার মো. জসিম উদ্দিন জুয়েল পূর্বদেশকে বলেন, শেড নির্মাণের কাজ চলছে। ভেতরে রাস্তা, হাসিল কাউন্টার তৈরির কাজ করছি। এবার বিক্রেতা ও ক্রেতাদের জন্য ৫০টি হাসিল ঘর তৈরি করা হবে। জাল টাকা শনাক্তে যন্ত্র বসানো হবে। পশু ও ব্যবসায়ীদের সেবায় পৃথক চিকিৎসকও রাখা হবে। এবার হাটে প্রায় ৭শ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।
কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাত্রি ত্রিপুরা পূর্বদেশকে বলেন, হাটে আগত ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় সুবিধাদি নিশ্চিত করতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।
কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরিফ জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাজারে দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে, চাঁদাবাজি প্রতিরোধ ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করবে।