পটিয়ায় মহাজোট প্রার্থী সামশুল হকের প্রচারণা : পটিয়া আসনের এমপি ও মহাজোটের প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির এনাম বুড়া ড. কামাল ও জুয়াড়ি তারেক জিয়াকে অনুসরণ করছে। তারা দেশ ও জাতিকে কিছু দিতে পারে না। আ.লীগ সরকার আগামীবার ক্ষমতায় এলে পটিয়াতে অর্থনৈতিক জোন এবং মডেল উপজেলায় রুপান্তর করা হবে।ভোটারদের দুয়ারে এখন প্রার্থীরা ।
চলছে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ
তিনি বলেন, নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়া না হলে দল ও শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই দল ও দেশকে বাচিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে সব ভূলত্রুটি ভূলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গত শুক্রবার কুসুমপুরা ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারকালে তিনি এ কথা বলেন। কুসুমপুরা ইউনিয়নে গণসংযোগকালে মহাজোট প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছির, সেলিম নবী, কাজী তৈয়ব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজন চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জমান চৌধুরী, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন প্রমুখ। সামশুল হক চৌধুরী আরো বলেন, পটিয়ার উন্নয়ন চাইলে আবারো নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে হবে। আর ভোট আদায়ে প্রতিটি ঘরে যেতে হবে নেতাকর্মীদের। পটিয়ার উন্নয়ন ও দেশের স্বার্থে কৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার বিকল্প নেই। এ সময় মোহাম্মদ নাছির বলেন, দলের প্রার্থী ও প্রতীকের বিষয়ে কোন মতভেদ নেই। দলের স্বার্থে দেশকে অপশক্তির হাত থেকে রক্ষার স্বার্থে কৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়ী করতে হবে।
পটিয়ায় বিএনপি প্রার্থী এনামের গণসংযোগ : পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়ন এলাকায় গত শুক্রবার গণসংযোগ চালিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী এনামুল হক এনাম। তার শ্বশুর বাড়ি ওই ইউনিয়নের ছাদেকিয়া এলাকায়। ওই ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ ও পথসভায় বিএনপি প্রার্থী এনামুল হক এনাম বলেন, আমি এ ইউনিয়ন এলাকার জামাই।
জামাই হিসেবে শ্বশুর বাড়ির তর্কা পাই। তবে সে তর্কা হিসেবে জমি বা টাকা পয়সার ভাগ চাই না। তর্কা হিসেবে আমি আপনাদের সেবা করার জন্য ধানের শীষে ভোট চাই। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দেবেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রের মা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং পটিয়ার দৃশ্যমান উন্নয়ন চাইলে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিন।
আশিয়া ইউনিয়ন এলাকায় প্রচারণার সময় বিএনপি প্রার্থীর স্ত্রী পারভীন আক্তারও তাতে অংশ নেয়। গত শুক্রবার সকালে পটিয়া বিএনপির প্রার্থী এনামুল হক এনামের সহধর্মীনি মোছাম্মৎ পারভিন আক্তার ও বিএনপি প্রার্থী এনামুল হক এনাম আশিয়া ইউনিয়নের বাথুয়া, বাংলা বাজার, বায়তুল নুর মাদ্রাসা, ছাদেকিয়া, পূর্ব বাথুয়া, বাথুয়া, উত্তর ছনহরা, দক্ষিণ ছনহরা, আলমদারপাড়া, চাটরা, পূর্ব আশিয়াসহ আশপাশের এলাকায় গণসংযোগ করেন। সকালে বিএনপির প্রার্থী এনামুল হক এনাম ওই এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ ও কয়েকটি নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম, পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিপু, পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, ছৈয়দ মনির আহমদ সেলিম, শরীফ উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল হক মেম্বার, মোকাম্মেল তালুকদার, বিএনপি নেতা মো. বখতিয়ার উদ্দিন, মোজাম্মেল হক, মো. রফিক সওদাগর, ওয়াহিদুল আলম পিবলু, আনোয়ার, মোহাম্মদ নাজিম প্রমুখ।
এ সময় বিএনপি প্রার্থী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়ম, দূর্নীতির বিষয়টি জনগণ বুঝতে পেরেছে। তাছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে একের পর এক হয়রানি করার বিষয়টি আগামী ৩০ ডিসেম্বর ব্যালেটের মাধ্যমে জনগণ জবাব দিবেন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে এবার নারী ভোটাররা ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ের ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখবেন।
রাঙ্গুনিয়ায় সনাতন সম্প্রাদায়ের সাথে হাছান মাহমুদের মতবিনিময় : দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধ্বংস করার জন্য কামাল হোসেনরা মানুষ পুডিয়ে মারার দলের সাথে যোগ দিয়েছেন। দেশের মানুষ আগুন সন্ত্রাসীদের ক্ষমতায় দেখতে চায়না। এরা ক্ষমতায় আসলে দেশে আবারও হাওয়া ভবন সৃষ্টি করবে। তাদের কাছে কোন মানুষই নিরাপদ নয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের সব সম্প্রাদায়ের মানুষ নিরাপদে থাকে। গত ১০ বছরে সব মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অনেক কিছু করেছে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র করতে আবারোও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান।
গত বৃহস্পতিবার ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সৈয়দ বাড়ি সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারে রাঙ্গুনিয়া সনাতন সম্প্রাদাযের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
মাস্টার নির্মল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে শৈবাল চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাখাল দাশ গুপ্ত, টাস্ট্রি হিন্দু ধর্মীয় কল্যান মন্ত্রানালয়, স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলীমাহ, পৌরসভা মেয়র শাহাজাহান সিকদার সিরাজুল ইসলাম, আবু জাফর শিল্পপ্রতি তড়িৎ কান্তি দে, বিধান চন্দ্র দাশ, বিভুতি ভুষন দে, নিখিল কুমার নাথ, বিজয়কুমার সেন, ত্রীদিব সাহা প্রমুখ।
সাতকানিয়া পৌর এলাকায় মহিলা সমাবেশ : আগামী ৩০ই ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গত ২১ ডিসেম্বর সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের এর সভাপতিত্বে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের মহিলাদের নিয়ে এক মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীক পদ প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর সহধর্মিণী মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সায়েদুর রহমান দুলাল, প্যানেল মেয়র একে.এম.মোর্শেদ। কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক ভোলার সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল কবির, মোহাম্মদ আলী, সাইফুদ্দিন দুলাল, মহিলা কাঞ্চিলর শিকুআরা বেগম, হাসিনা আক্তার, মোজাম্মেল হক লিটন, গোলাম ফেরদৌস রুবেল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন সুজন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. জুনাইদ, ছাত্রনেতা মো. এনামুল হক, আরিফুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম ও তাকিবুল হক প্রমুখ।
রাউজান পৌরসভার ব্যবসায়ীবৃন্দে মতবিনিময় : মহাজোট প্রার্থী বর্তমান আওয়ামী লীগের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সমর্থনে রাউজান পৌরসভা সকলস্তরের ব্যবসায়ীবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন তার জৈষ্ট্য পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী। রাউজান পৌরসভা কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির ব্যবস্থাপনায় গত শুক্রবার বিকেল চারটায় ডিউ.বি.জি শপিং কমপ্লেক্সের সামনের ময়দানে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মার্কেটের সভাপতি ওসমান গণি রানা। সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ও বক্তব্য দেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, ২য় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, পৌর কাউন্সিলর এডভোকেট দীলিপ কুমার চৌধুরী, স্বপন কুমার দাশ, ছৈয়দ মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মমতাজুল হক, আবদুল লতিফ, আমিনুল ইসলাম, সাদিকুজ্জামান শফি, তৌহিদুল আলম সিকদার, আনোয়ারুল মোস্তফা ইমরান, অনিমেষ রুদ্র লিটন, মো. এরশাদ, বাদশা সওদাগর, আবু মেম্বার, সানাউল্লাহ চৌধুরী, মোজাম্মেল হোসেন, মো. ওসমান, অনুপ চক্রবর্তি, সাইদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, মৌলানা তৈয়ব, নেজাম, মো. রাশেদ, রুবেল।
রাউজান সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের গণসংযোগ : রাউজান সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে গণসংযোগ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীনেগর নেতৃবৃন্দ।
ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরুর নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক মোসলেহ উদ্দিন মোহাম্মদ বদরুল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুল আমিন, রাউজান উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শওকত হোসেন, ব্যবসায়ি হাসান মো.রাসেল, যুবলীগ নেতা মো. মাসুদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইসহাক ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক।
চন্দনাইশে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে একাট্টা ইউপি চেয়ারম্যানরা : চট্টগ্রাম-১৪ সংসদীয় আসনের অন্তর্ভূক্ত চন্দনাইশের ১ পৌরসভা, ৮ ইউনিয়ন, উত্তর সাতকানিয়ার ৬ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা নৌকার বিজয় লাভের লক্ষ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে একাট্টা হয়েছেন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ সকল জনপ্রতিনিধিরা ১৪ আসনের আ. লীগের মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর হাতে হাত রেখে নৌকার পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তারা নিজ নিজ এলাকায় নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে আনতে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলা আ. লীগের সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে এমপি প্রার্থীর হাতে হাত রেখে তারা নির্বাচনে একাট্টা হয়ে কাজ করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। তাদের এহেন ঐক্য অটুট থাকলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের হেভিওয়েট প্রার্থী কর্নেল (অব.) অলি আহমদকে হারিয়ে নৌকার বিজয় অনেকটা সহজ হবে বলে মনে করছেন আ.লীগের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিরোধী দলের বর্জনকৃত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর থেকে তিনি এ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয়ে ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে দু’ উপজেলার মধ্যবর্তী শঙ্খ নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে ২শ, ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বøক স্থাপন করায় শঙ্খের ভাঙ্গন থেকে মুক্তি পেয়েছে শঙ্খ তীরবর্তী মানুষ।
শঙ্খের দু’ পাড়ে মানুষের স্বপ্নের সেতু খোদার হাট ব্রীজ উন্মুক্ত করে দেয়ায় এ দু’ উপজেলার সাধারণ মানুষের যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটেছে বলে স্থানীয়রা অভিমত ব্যক্ত করেন। সে সাথে নজরুল ইসলাম চৌধুরী বিগত ৫ বছরে দফায় দফায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জনগণের দোর-গোড়ায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগিয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো উন্নয়নে দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধন করেছেন।
ফলে সাধারণ মানুষ একজন মুক্তিযোদ্ধা, পরিছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তাকে পুনঃরায় নৌকার মাঝি করে সংসদে পাঠাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন এ সকল জনপ্রতিনিধিরা। এ দু’উপজেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকারকে পুনঃরায় সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে তারা একাট্টা হয়েছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। এ সকল চেয়ারম্যানগণ বিগত ইউপি নির্বাচনে আ. লীগের টিকেটে ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করেছিলেন।
তাই তারা দলের আনুগত্য প্রকাশ করে, ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থীকে জয় লাভ করার জন্য একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন। চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুল আলম খোকা, চেয়ারম্যান যথাক্রমে- বরকলের হাবিবুর রহমান, কাঞ্চনাবাদের মুজিবুর রহমান, বরমার নুরুল ইসলাম, বৈলতলীর আনোয়ার মোস্তাফা চৌধুরী দুলাল, সাতবাড়িয়ার আহমুদুর রহমান ভেট্টা, হাশিমপুরের আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী, জোয়ারার আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন, ধোপাছড়ির মোর্শেদুল আলম, সাতকানিয়ার উপজেলার চেয়ারম্যান যথাক্রমে- কালিয়াইশের হাফেজ আহমদ, ধর্মপুরের মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, বাজালিয়ার তাপস দত্ত, কেঁওচিয়ার মনির আহমদ, পুরানগড়ের আ ফ ম মাহবুবুল হক, খাগরিয়ার আকতার হোসেন একাট্টা হয়ে এ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে সম্মিলিতভাবে কাজ করে জয়যুক্ত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
চন্দনাইশে ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী স.উ.ম আবদুস সামাদ বলেছেন, দু’জোটের প্রার্থীদের কাছে কেউ নিরাপদ নয়। জনগণও নিরাপদ নয়। তাই ইসলামী ফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে সবাই নিরাপদ থাকবে। ইসলাম শান্তি প্রিয় মানুষের সংগঠন।
এ সংগঠনের মাধ্যমে দেশে শান্তি বিরাজ করবে। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ শান্তিতে এবং নিরাপদে থাকবে। তাই মোমবাতি প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশকে শান্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। গত ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হযরত আমিন উল্লাহ শাহ মাজারা জেয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, অধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুর রহমান, অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ফয়েজ উল্লাহ খতিবী, ডা. কলিম উদ্দিন, আলী আক্কাস, মাজাহার হেলাল, মামুন উদ্দিন ছিদ্দিকী, এনামুল হক, মারুফ রেজা, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম রুবেল, ফরহাদ হোসেন, ওসমান শাহাদাত, আবদুল মাবুদ প্রমুখ।
বর্তমান সরকারের ক্ষমতাকালে বাংলাদেশের সর্বত্র উন্নয়নের চিত্র পরিলক্ষিত হলেও যোগ্য অভিভাবক না থাকায় তার উল্টো চিত্র বিরাজ করছে সীতাকুন্ডে । যোগ্য অভিভাবক না থাকায় শিল্প কারখানা সমৃদ্ধ সীতাকুন্ডে বেকারত্বের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। তাই বেকারত্ব দূরীকরন, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত আলোকিত সীতাকুন্ড গড়তে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে লাঙ্গলের বিজয় নিশ্চিতে কাজ করতে আহব্বান জানান। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের লতিফপুর বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কর্র্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথাগুলো বলেন চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুন্ড আসনের জাপা প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব দিদারুল কবির দিদার।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, উত্তর জেলা জাপা সহ-সভাপতি নুরনবী ভূইয়া, মহানগর জাপা সহ-সভাপতি সালামত আলী, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. ফছিউল আলম ভূঁইয়া, উপজেলা জাপা সহ-সভাপতি ওমর ফারুক হোসাইন, পৌর জাপা সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, ১০নং সলিমপুর ইউনিয়ন জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আনোয়ার, জসিম উদ্দিন, মো. হাসান তৈয়ব আলী, করিম উদ্দিন, সাইফুদ্দিন, হাসমত আলী, পারভেজ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে হাজারো দলীয় নেতাকর্মীর অংশগ্রহনে মহাসড়কর পাক্কার মাথা, কদম রসুল, জোরামতল এলাকায় লাঙ্গলে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন দিদারুল কবির। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীকে নিয়ে ছোট কুমিরা বাজারে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেন তিনি।