ভেসে এল আরও ২ লাশ, নিহত বেড়ে ১৯

5

মিয়ানমার থেকে আসা নৌকাডুবির ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার উপকূল থেকে আরও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে সাগরপথে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবিতে দুই দিনে মোট ১৯ রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে সাত নারী, নয় শিশু ও তিন পুরুষ রয়েছেন।
এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নজরধারি ও টহল জোরদার করেছে কোস্ট গার্ড।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান,নৌকাডুবির ঘটনায় আরও দুই শিশুর মরদেহ গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়াঘাটের সৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে। খবর বিডিনিউজ’র
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে সদর ইউনিয়নের নোয়াখালিয়া পাড়া ও হাবিরছড়া এলাকা থেকে ১২ জন এবং সাবরাং ইউনিয়নের গোলারচর এলাকা থেকে পাঁচ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধার করা মরদেহগুলো স্ব স্ব এলাকায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া পয়েন্ট এলাকায় ৩১ রোহিঙ্গাকে বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়। কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশিরভাগ যাত্রী সাগরে তলিয়ে যায়।
এদিকে গত ৩ দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
তারা জানান, বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নৌকা যোগে অনুপ্রবেশ করা অনেকেই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল এবং নজরদারি জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
তিনি বলেন, চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নাফ নদী ও সেন্টমার্টিন এলাকায় যে কোনো প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া, সেন্টমার্টিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে টহল জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত জনবল ও সরঞ্জাম মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ নিয়মিত হাইস্পিড বোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছে কোস্ট গার্ড।
যেকোন প্রকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।