চকরিয়া প্রতিনিধি
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নীলগাই নামক একটি বিরল প্রজাতির প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নীলগাইটি মারা যায়।
মারা যাওয়া নীলগাইটি স্ত্রী লিঙ্গের এবং প্রাপ্ত বয়স্ক। হাতি শাবকের পর একমাসের ভেতর নীলগাইয়ের মতো বিরল প্রজাতির এই প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনায় সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জন খাতেম জুলকারনাইনের কর্তব্যে অবহেলাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহল।
চকরিয়া উপজেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এমআর মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের সংশ্লিষ্টদের কর্তব্যে অবহেলা এবং রোগ নিরুপনে তড়িৎ পদক্ষেপ না নেয়ার ফলে হাতি শাবকের মৃত্যুর পর এবার বিরল প্রজাতির প্রাণী নীলগাইটির মৃত্যু হয়েছে।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জন খাতেম জুলকারনাইন। তিনি বলেন, দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি সঠিক নয়। ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মীরা নিবিড় পরিচর্যায় নীলগাইটির চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
ভেটেরিনারি সার্জন খাতেম জুলকারনাইন আরও বলেন, চলতি মাসের ১১ মে পঞ্চগড় থেকে আহত অবস্থায় নীলগাইটি উদ্ধার করে গত ১৫ মে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় নীলগাইয়ের চার পাসহ সর্বশরীরে ব্যাপক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এমনকি পায়ের জয়েন্ট ভেঙে গিয়ে তরল পদার্থ বের হওয়ার কারণে ক্ষতস্থানে ব্যাপক জীবানু প্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয় নীলগাইটি। এক পর্যায়ে প্রাণীটি রোগ প্রতিরোধে শারিরীক সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরও নীলগাইটি সুস্থ না হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, আমি অফিসের কাজে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করার কারনে নীলগাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারছিনা। তবে প্রাণীটি মারা যাওয়ার পর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন হাতেম জুলকারনাইন ও চকরিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আরিফ উদ্দিন উপস্থিত থেকে ময়নাতদন্তের পর এটি মাটির নিচে চাপা দেওয়া হয়েছে বলে পার্কের লোকজন আমাকে জানিয়েছেন।