সীতাকুন্ড প্রতিনিধি
সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী হাজী তোবারক আলী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভাটিয়ারী টিএসি উচ্চ বিদ্যালয়) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ তিন শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ভাটিয়ারী ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল শুক্রবার বিকালে ভাটিয়ারী বিজয় স্মরণী কলেজ সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এই তিন শিক্ষককে দুর্নীতিবাজ অখ্যায়িত করে তাদের অপসারণের দাবি জানানো হয়।
এর আগে গত বুধবার আন্দোলনের মুখে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার খবর পাওয়া যায়। শিক্ষক কান্তি লাল আচার্য্যরে মেয়ে তার বাবাকে জোর করে পদত্যাগের আবেদনে স্বাক্ষর নেয়ার দাবি করে এ সংক্রান্ত ভিডিও ও ছবি তার ফেসবুকে আপলোড করে। দ্রæতই এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে একটি স্বার্থন্বেষী মহলের চক্রান্তে রাজনৈতিক দল বিএনপিকে জড়িয়ে ‘জোড়পূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছে’ মর্মে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের অভিযোগ আনা হয় সংবাদ সম্মেলনে। প্রকাশিত ‘জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর’ অভিযোগটি মিথ্যা,বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান বিএনপি নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি ইমরোজ সেলিম মিনু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আনোয়ার, জাফর আহমদ, ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম, কামাল সওদাগর, ফিরোজ আলম, নিজাম কোম্পানী, সফি সওদাগর, শেখ সাহাবুদ্দিন, মাওলানা ইসমাইল, মহিউদ্দিন, মো. আলী, রমজান আলী মেম্বার, নুরুল আবসার, রহমান মেম্বার, মাহবুব আলমসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ১৭ বছর এলাকার স্কুল, কলেজসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পরিচালনা করেছেন আওয়ামী দোসররা। বর্তমানে আওয়ামী দোসররা এখন তাদের মুখোশ পরিবর্তন করে অবৈধ অর্থ বিলিয়ে একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের আশ্রয় প্রশ্রয়ে সরাসরি আবার অনিয়ম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী এই কান্তি লাল আচার্য্যসহ দুই সহকারী শিক্ষকের দ্রুত পদত্যাগের দাবি জানান। আর এলাকাবাসীর দাবির মুখে দুর্নীতিবাজ কান্তি লাল স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেও বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করতে গুঁটিকয়েক সাংবাদিক তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছে বলে প্রচার করেছেন যা খুবই দুঃখজনক।
বিএনপির নামে যে সকল মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে তাদেরকে আওয়ামী দোসরদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারী উল্লেখ করে সঠিকভাবে সত্য সংবাদ পরিবেশন করতে অনুরোধ করেন। এভাবে বিএনপি বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করতে থাকলে, এক সময় জনগণের কাছে ঘৃনার পাত্র হিসেবে চিহ্নিত হবেন সেই সকল সাংবাদিক।