ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

1

বাঁশখালী প্রতিনিধি

বাঁশখালীর খানখানাবাদে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযানের পর সেখানে দুটি পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের নির্দেশে পরিচালিত অভিযানে মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত একটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়েছে। খানখানাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম রায়ছটা এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গত ১৫ মে রাত ১০ টার দিকে উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পশ্চিম রায়ছটা রইয়া পুকুর পাড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় দুটি পক্ষের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত ১৫ মে রাতে ওই এলাকার আশরাফ আলীর জায়গা থেকে জোরপূর্বক মাটি খনন করার সময় উপজেলা প্রশাসন সেখানে অভিযান পরিচালনা করে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি স্ক্যাভেটরও জব্দ করেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রশাসন চলে আসার পর সেখানে দুটি গ্রæপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় প্রেমাশিয়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রশিদ বাদি হয়ে গত ১৮ মে চট্টগ্রাম চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন আমি পরিষদের কাজে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছিলাম। মাটি কাটা নিয়ে তাদের দুই গ্রæপের সংঘর্ষে আমাকে জড়িয়ে মামলা করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
গতকাল মামলার বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা মামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানান।
স্থানীয় আবদুল মালেক, বয়োবৃদ্ধ মোহাম্মদ হোসেন, আবুল বশারসহ অন্তত অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ জানান, ঘটনাটি ঘটেছে মূলত মাটি কাটার বিষয় নিয়ে। আখতার ফারুক নামে এক প্রভাবশালী তার লোকজন নিয়ে একই এলাকার আশরাফ আলীর জায়গা থেকে জোরপূর্বক মাটি কাটছিল।
এতে আশরাফ আলীর লোকজন বাঁধা দেয়। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)র নির্দেশে বাঁশখালী থানাধীন বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বে থাকা এসআই জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর জব্দ করেন। এতে আখতার ফারুকের লোকজন জায়গার মালিক আশরাফ আলীর লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
ভুক্তভোগী আশরাফ আলী জানান, আখতার ফারুকের নেতৃত্বে প্রভাবশালী মাটি সিন্ডিকেট চক্র জোরপূর্বক আমাদের জায়গা থেকে মাটি কাটছিল। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে অবহিত করি। প্রশাসন এসে ঘটনাস্থল থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর জব্দ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আখতার ফারুকের লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। অবৈধভাবে মাটি কাটার ঘটনায় প্রশাসন এসে ব্যবস্থা নিলেও তারা আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা করেন।
বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মজনু মিয়া জানান, মাটি কাটার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসিল্যান্ডের নির্দেশে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি স্কেভেটর ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করি।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সাথে আমার বিন্দু পরিমাণ সংশ্লিষ্টতা পেলে আমি যে কোন শাস্তি মাথা পেতে নেব।