যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশই এবার থেমে যাক। পাকিস্তানের ভেতর ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসে এ কথা বলেন ট্রাম্প। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি দুটি দেশকেই খুব ভালো করে চিনি। আমি চাইব ওরাই সমাধান করুক। আমি চাই ওরা থেমে যাক।’ খবর বিবিসি বাংলার
ভারত আর পাকিস্তান দুই দেশই, ট্রাম্পের কথায়, ‘টিট ফর ট্যাট’, অর্থাৎ আঘাত আর প্রত্যাঘাত করেছে। তাই এবার তিনি আশা করেন যে দুই দেশই এবার থেমে যাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটাও বলেছেন যে তিনি যেকোনো ধরনের সহায়তা করতেও রাজি আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেছেন যে তারা ভারত আর পাকিস্তানের সংঘাতের দিকে যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। ওই মুখপাত্র বলেছেন যে মার্কিন কর্মকর্তারা দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন এবং ভারত ও পাকিস্তান যাতে ‘দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি স্থাপনের জন্য দায়িত্ব সহকারে সংঘাত মেটানোর’ চেষ্টা করে।
ভারতের হামলার পরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছিল যে তারা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছে, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরেও তাদের সেই বক্তব্যে নতুন কিছু যুক্ত হয়নি। ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতেন, এমন দুই পদাধিকারীকে এখনো নিয়োগ করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। দুই দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো রাষ্ট্রদূত এখনো নেই। দুই দেশে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূতরা চরম উত্তেজনার সময়ে স্থানীয়ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারতেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম কার্যকালের সময়ে ভারতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করা টিম বলেছেন, দিল্লিতে বসে দুই দেশের মধ্যে নীরবে ক‚টনৈতিক পদক্ষেপ বা চুপচাপ মধ্যস্থতাও করতে পারতেন ভারতে যদি কোনো রাষ্ট্রদূত থাকত আমেরিকার। ভারত আর পাকিস্তানে স্থায়ী রাষ্ট্রদূত থাকাটা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। তার কথায়, ইসরাইল, চীন আর দক্ষিণ আমেরিকার জন্য রাষ্ট্রদূতদের নাম ঘোষণা হয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের এখন সবথেকে গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা প্রথমে মনোনয়ন পান তারপর তাদের নিয়োগ নিশ্চিত করে মার্কিন সিনেট। এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। ট্রাম্প প্রশাসন মাত্রই একশো দিন পার করেছে।