পূর্বদেশ ডেস্ক
ভারতে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বাংলাদেশ বড় ধরনের কোনো সমস্যায় পড়বে বলে মনে করছেন না বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে সব অংশীজন, বিমান, সিভিল এভিয়েশন, প্রাইভেট সেক্টর সবার সাথে বৈঠক করেছি। কোনো সমস্যা বোধ করছি না। খবর বিডিনিউজের।
ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার এক সার্কুলারে দেশটির বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার কথা জানায়।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ব্যাখ্যায় বলে, বাংলাদেশের পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা নেপাল বা ভুটানগামী পণ্য চালানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নিজস্ব উদ্যোগে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় যেন কোনো ঘাটতি না পড়ে, রপ্তানির ক্ষেত্রে যোগাযোগে যেন কোনো ঘাটতি না পড়ে সেজন্য সব ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছি তা হয়ত এই মুহূর্তে শেয়ার করব না। আমাদের কাঠামোগত ও খরচের দিক থেকে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেটা সমন্বয়ের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়াব। আমি কোনো সমস্যা দেখছি না।
পাল্টা কোনো পদক্ষেপ বাংলাদেশ নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা আমার বিষয় না। আমার কাজ হচ্ছে বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানো।
যে সুবিধা ভারত বন্ধ করেছে তার মাধ্যমে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন মালামাল সড়ক পথে ভারতের বিভিন্ন বন্দরে যেত। এসব পণ্য চালানের গন্তব্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশ।
উপদেষ্টা বলেন, এটা আমরা নিজেরাই ক্যারি করার সক্ষমতা বাড়াব।