ভারত কেন দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচন চায়

1

জসিম উদ্দিন মনছুরি

বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি অনেক আগে থেকেই নির্বাচনের দাবি নিয়ে আন্দোলন চলমান রেখেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলে তিনটি দাবি প্রাধান্য পায়, সংস্কার, সুষ্ঠু নির্বাচন ও জুলাই গণহত্যার বিচার। বিগত আওয়ামীলীগ সরকার দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে বারবার চ্যাম্পিয়ন করে বিশ্বের কাছে ঘৃণার নজির স্থাপন করে গেছে। ভোট বিহীন নির্বাচনে বারবার ক্ষমতা দখল করে বিরোধীদের দমনের মধ্য দিয়ে সাড়ে ষোল বছরের দুঃশাসনের অবসান হয় জুলাই অভ্যুত্থানে পতনের মধ্য দিয়ে। বৈদেশিক ঋণের বিশাল বোঝা রেখে শেখ হাসিনা সরকারের লজ্জাজনক পতনের পর তিনি ভারতে পলায়ন করেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার। রিজার্ভের প্রায় শূন্যে কোঠায় এসে ঠেকে দেশ। চলমান অস্থির পরিবেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। দেশকে রিজার্ভে পরিপূর্ণ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার। ক্ষমতা গ্রহণের দশ মাসের মাথায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পূর্ণ হয়েছে। অর্থপাচার, দুর্নীতি, দখলবাজি, দমননীতি, হত্যা, গুম ও বিরোধীদের দমন ছিল আওয়ামীলীগ সরকারের অন্যতম স্বৈরাচারী মনোভাব। আওয়ামীলীগ সরকার অলিখিতভাবে বিরোধীদের জন্য দেশকে কারাগারে পরিণত করেছিল। গণঅভ্যুত্থানে নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন এবং তাদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত ত্বরান্বিত করা অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের অন্যতম এজেন্ডা। সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন সংস্কার কমিটি গঠিত হলেও সংস্কার প্রক্রিয়া তেমন একটা অগ্রসর হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রিয়াজের সাথে দফায় দফায় বৈঠক হলেও কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ঐক্যমতে পৌঁছালেও দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির সাথে অনেক বিষয়ে মতানৈক্য পরিলক্ষিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম ইতোমধ্যে গণহত্যার তদন্ত প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করে বিচারের কাছাকাছি চলে এসেছে। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার দেশকে সংস্কার, দুর্নীতিমুক্ত ও বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নজির স্থাপন করতে চায়। যুক্তিক সংস্কারের পর বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি বরাবরই সরকারের কাছে নির্বাচনের রোড়ম্যাপ দাবিসহ নির্বাচনের সময় জানার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা বলে আসলেও বিএনপি তার ঘোর বিরোধিতা করে আসছে। বিএনপি’র দাবি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হতে হবে। বিএনপির প্রভাবশালী নেতা দুদু আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে বলেন, সরকার যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করে বিএনপি নিজেরাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। ইতোমধ্যে দেখা গেছে সংস্কার কমিশনের সাথে বিএনপির ব্যাপক ফারাক পরিলক্ষিত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বিষয়ে অধিকাংশ দল জামায়াত, এনসিপি ও অন্যান্য দল ঐক্যমতে পৌঁছালেও বিএনপি অধিকাংশ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে। দেশের অধিকাংশ জনগণের ধারণা যেনতেন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হলে বাধাগ্রস্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম। ব্যাহত হতে পারে সংস্কার প্রক্রিয়াও। বিএনপির দাবি সংস্কার করা অনির্বাচিত সরকারের কাজ নয়। তাদের মতে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যে সরকার ক্ষমতায় আসুক না কেন তারাই সংস্কার কার্যসম্পন্ন করবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও যে দলই ক্ষমতা এসেছে তারা বরাবরই সংস্কারকে আড়াল করে নিজেদের স্বার্থে আইন প্রয়োগ করে বিরোধীদের দমন-পীড়নসহ ক্ষমতা আকড়ে থাকার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জনগণের বিশ্বাস অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার যদি সংস্কার প্রক্রিয়া অসম্পন্ন রেখে কিংবা বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দেয় তাহলে হয়তো বিএনপি ক্ষমতায় এসে সংস্কার প্রক্রিয়া নিজেদের স্বার্থে বন্ধ করে দিতে পারে। অথবা বিচার প্রক্রিয়া থেকে আওয়ামীলীগকে বাঁচাবার জন্য আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে। ফলে জুলাই অভ্যুত্থানে ১৭০০ শহীদের রক্ত ও অর্ধ লক্ষাধিক হতাহতের মধ্য দিয়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা ব্যার্থ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে জোরালো হয়েছে জাতীয় সরকারেরও রূপরেখা। অনেকে রূপরেখা দিয়েছেন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে জাতীয় সরকার গঠন। বিএনপিকে ২৫% জামায়াতকে ২০% এনসিপিকে ১৫% অন্যান্য দলকে ১০% দিয়ে জাতীয় সরকারের রূপরেখা। এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম বিনিয়োগ অংশীদার চীন ও আমেরিকার দ্বিমত না থাকলেও তাতে ঘোরতর আপত্তি রয়েছে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের। বিএনপির ধারনা এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ ভোট পেয়ে তারা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারবে। ভারতও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ড. ইউনূসকে সরিয়ে দিয়ে যেনতেন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারলে তাদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে নিজেদের প্রভুত্ব কায়েম করা সম্ভবপর হবে। দেশের অধিকাংশ জনগণের ধারণা বিএনপির অনেক বড় বড় নেতার সাথে ভারতের ‘র’য়ের সুসম্পর্ক রয়েছে। ভারত বিএনপির সাথে আঁতাত করে ভবিষ্যতে আওয়ামলীগের মত পুতুল সরকারে পরিণত হবে।
অধিকাংশ দল সংস্কার ও বিচার সম্পন্ন করে নির্বাচনের জন্য যুক্তিক সময় দিতে আগ্রহী হলেও বিএনপির তড়িগড়ি করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিকে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতও দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দাবি করায় বিএনপির সাথে ভারতের আঁতাতের গন্ধ পাচ্ছে অনেকে। এই মুহূর্তে দেশের অধিকাংশ জনগণের ধারণা সংস্কার প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রেখে নির্বাচন হলে অতীতের মত সরকার স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করে নিজেদের স্বার্থে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় দিবে ভবিষ্যৎ সরকার। তাহলে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন সংস্কার, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, সংবিধান সংস্কার এবং বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা। তা না হলে বিচার কার্যক্রম অধরাই থেকে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে গেছে। ইসলামী রাজনীতি ও বিএনপির রাজনীতি। জমায়েত ইসলামীর নেতৃত্বে ইসলামিক সমমনা দলগুলির জোট ও বিএনপি’র অবস্থান। ইসলামী দলের নেতাদের বলতে শোনা যাছে তাদের ব্যালেট বাক্স হবে একটি। বরাবরই বাংলাদেশের জনগণ ধর্ম প্রিয়। ইসলামিক দলগুলি যদি এই ঐক্য বজায় রাখতে পারে তাহলে তাদের জনপ্রিয়তা যেভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাছে এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে ভবিষ্যতে ইসলামিক দল সরকার গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষমতায় আসার পূর্ব থেকে যেভাবে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি শুরু করছে তাতে তাদের জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। বিএনপির অনেক কর্মকাÐ নিয়ে ইতোমধ্যে জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপি’র সাথে সুর মিলিয়ে ভারতের নির্বাচনের দাবি আগুনে ঘি ঢালার মত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের নির্বাচনের দাবিকে জনগণ সন্দেহের চোখে দেখছে। অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাহলে কি বিএনপি তলে তলে ভারতের সাথে আঁতাত করে চলছে? বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ ভারতের আগ্রাসি নীতির কারণে ভারত বিরোধী হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সাথে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক ও চীনের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের কারণে ভারতের মাথা ব্যাথার অন্যতম কারণ।
সাম্প্রতিক লালমনিরহাটে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত বিমানবন্দর সংস্কারের কথা উঠলে ভারত তীব্র বিরোধিতা শুরু করে। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য স্পষ্টত হুমকি।এমনকি চিকেনস নেক করিডোরে ভারত তাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। ভারতের বাংলা জি নিউজ থেকে জানা যায় তারা সেখানে রাফাল বিমান ও রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে সূচনীয় পরাজয়ের পর তাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকেনস নেক করিডোর। তাদের ধারণা চীন ও বাংলাদেশ যৌথভাবে হামলা চালিয়ে সেভেনসিস্টারকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। কিংবা এই সাতটি রাজ্য ভারতের কাছ থেকে চীনের সহায়তায় বাংলাদেশ ছিনিয়ে নিতে পারে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতকে প্রভুত্ব না মেনে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আগ্রহী হলেও ভারত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বরাবরই ভয় পেয়ে আসছে। ভারত সরকারের সাথে বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।আওয়ামীলীগ সরকারের করা অসম বানিজ্য চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার। ইতোমধ্যেই অনেকগুলি চুক্তি বাতিল করেছে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার। ফলে স্পষ্টত ভারতের সাথে বৈরী সম্পর্ক শুরু হয়।এতদিন ভারত থেকে সুতা আমদানি করা হতো উচ্চ মূল্যে। দেশীয় কলকারখানা অচল করে আওয়ামী সরকার ভারতকে সুবিধা প্রদানের জন্য এসব পণ্য আমদানি করতো। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার নিজেদের প্রযুক্তি দিয়ে দেশে উৎপাদনের লক্ষ্যে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করে দেয়। এমনকি ভারতকে দেয়া ট্রানজিট চুক্তিসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি বাতিল করে দেয়া হয়েছে। ফলশ্রুতিতে ভারতের সাথে দূরত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপির সাথে ভারতের সম্পর্ক এবং ভারতের নির্বাচন দাবি করায় জনগণ বিএনপির প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ মনে করে শেখ হাসিনা ভারতের মদদে বিনা ভোটে বারবার সরকার গঠন করে সাড়ে ১৬ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। আওয়ামী সরকার বিনিময়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে ভারতকে অসংখ্য সুবিধা দিয়ে আসছিল। ভারতের আগ্রাসী নীতির কারণে বাংলাদেশের জনগণ ভারত সরকারের কর্মকান্ডকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে আসছে। ভারত বরাবরই নিজেদের স্বার্থে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। সীমান্ত হত্যা, কাঁটাতারের বেড়া দেয়া, ফারাক্কা পানি বন্টন চুক্তি, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের অহেতুক নাক গলানিতে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারত বিরোধিতা তুঙ্গে।দেশের জনগণের বিশ্বাস বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভারত কখনো বন্ধুত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হননি। ভারত নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বরাবরই বাংলাদেশের উপর আগ্রাসীনীতি অবলম্বন করেছে। ভারতের মদদপুষ্ঠ আর কোন সরকারকে বাংলাদেশের জনগণ দেখতে চায় না। প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন হবে সমতার ভিত্তিতে- সমঅধিকারে। ভারতের প্রভুত্বকে দেশের জনগণ মানতে নারাজ। ভারত যাই বলুক না কেন দেশের জনগণ অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যাকাÐের বিচার সম্পন্ন করার পর একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করে। জনগণের বিশ্বাস অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার যুক্তিক সময়ে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে।
লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক