ভারতের পুশইন সুপরিকল্পিত : বিজিবি ডিজি

1

পূর্বদেশ ডেস্ক

সীমান্তে ভারতের ‘পুশইন’ সুপরিকল্পিত বলে জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। গতকাল সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির নবম সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। খবর বাংলানিউজের।
বিজিবি ডিজি বলেন, গত ৭ ও ৮ মে দুই দিনে আমরা ২০২ জনকে পেয়েছি। তাদের বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) বিভিন্নভাবে বিভিন্ন স্থান দিয়ে পুশইন করেছে। এমন স্থান দিয়ে করেছে, যেখানে জনগণ নেই, জনবসতি নেই।
তাদের নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন করে বাংলাদেশি যাদের পেয়েছি, তারা গত দুই তিন বছর থেকে অতীতে ২০ থেকে ২৫ বছর আগে নানা কাজে ভারতে গিয়েছিলেন। তাদের অনেকের সন্তানাদি আছেন, যারা আগে গিয়েছিলেন, তারা ভারতের আধার কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস পেয়েছেন। ভারতের পুলিশ বা বিএসএফ সেগুলো রেখে দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করেছে।
বিজিবি ডিজি বলেন, বাংলাদেশি যাদের পাওয়া গেছে, তাদের নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। তাদের মধ্যে ৩৯ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে। তারা আমাদের রোহিঙ্গা ক্যাস্পের রেজিস্টার্ড ছিলেন। তারা কোনোভাবে পালিয়ে গেছেন। তাদের আমরা ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছি।
তিনি বলেন, অ্যালার্মিং হলো, পাঁচজন রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে, যারা ভারতের ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী, তারা সেখানে নিবন্ধিত। তাদের পরিচয়পত্রও আমাদের কাছে আছে। সেখানে স্পষ্ট, তারা ভারতীয় হিসেবে নিবন্ধিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা জানাতে চাই, বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

তিনি আরও বলেন, বিএসএফ বরাবরের মতো অভিযোগ স্বীকার করছে না। আমরা মানছি না। আমরা পতাকা সভা করে প্রতিবাদলিপি দিয়েছি। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেছি। তারা যদি বাংলাদেশি হয়, আমরা নেব। তবে তা ফরমাল প্রসেসের মধ্যমে। এভাবে লুকোচুরির মাধ্যমে নয়।
তিনি বলেন, খাগড়াছড়ির দিকে আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনের মতো শরণার্থী সীমান্তের ওপারে আছেন, যাদের বিএসএফ পুশব্যাক করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের টহল বাড়ানোয় এবং সজাগ দৃষ্টি থাকার কারণে গত দুই দিন ধরে তারা চেষ্টা করে পারছে না।
আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। একইসঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।