কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বাসিন্দা কামাল হোসেনকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলি করে হত্যার ঘটনায় নয়াদিল্লি সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো চিঠিতে সরকার এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, সীমান্ত হত্যাকান্ডকে ‘শূন্য পর্যায়ে’ নামিয়ে আনার জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বারবার প্রতিশ্রæতি সত্তে¡ও বিএসএফের এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। খবর বাংলানিউজের।
বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে, সীমান্ত হত্যার এই ধরনের ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত এবং অযাচিত। এই ধরনের কর্মকান্ড সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নির্দেশিকা, ১৯৭৫ এর বিধান লঙ্ঘন করে।
বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এই ধরনের জঘন্য কর্মকান্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ এবং সমস্ত সীমান্ত হত্যাকান্ড তদন্তের পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহবান জানায়।
গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের পাহাড়পুরের কাছে সীমান্তে কামাল হোসেনকে (৩২) গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। এই ঘটনার পর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিএসএফ ওই যুবকের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যায়।
বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বগ্রহণের পরও সীমান্তে হত্যাকান্ডে ঘটে চলেছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে মৌলভীবাজার সীমান্তে কিশোরী স্বর্ণা দাশ ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে কিশোর জয়ন্ত কুমার সিংহ বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। এ দুটি ঘটনায়ও ভারতের কাছে দুইটি কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠায় বাংলাদেশ।