ভারতপন্থী এলিটদের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ রুখে দাঁড়ান

2

হাটহাজারী প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদকে নব্য প্যাগানবাদী সংস্কৃতির কারখানা হিসেবে আখ্যা দিয়ে ভারতপন্থী এলিটদের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
গতকাল রবিবার বিকেলে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আফসার কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এ আহবান জানান। বিবৃতিতে তারা পহেলা বৈশাখে তৌহিদবাদী গণসংস্কৃতির দিকে সংশ্লিষ্টদের ফিরে আসার আহŸানও জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রাকে নব্য প্যাগানবাদী সংস্কৃতির মোড়লদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। ভারতপন্থী সেক্যুলার এলিটদের সেবাদাস ঢাবির চারুকলা অনুষদ নব্য প্যাগানবাদী সংস্কৃতির কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। তৌহিদবাদী গণমানুষের বিরুদ্ধে শুধু সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদই নয়, ভারতের বশংবদ ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে ভারতপন্থী এলিটদের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে না পারলে আমাদের জাতীয় উৎসব ও সংস্কৃতিতে গণমানুষের তৌহিদবাদী চেতনার স্ফ‚রণের সুযোগ ঘটবে না। তাই ভারতপন্থী সেক্যুলার এলিটদের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
পৃথিবীতে ধর্মের ইতিহাসের বাইরে কোনো সভ্যতা নেই জানিয়ে তারা বলেন, ধর্মই হচ্ছে সভ্যতার বাপ-দাদা। এমনকি পশ্চিমা আধুনিকতার জন্মও খ্রিস্টিয় ধর্মসভ্যতার গর্ভে। কিন্তু স্থান-কাল নির্বিশেষে আমরা মুসলমানরা মিল্লাতে ইবরাহীম বা ইবরাহিম (আ.)-এর তৌহিদবাদী সভ্যতা ও ইতিহাসের ধারক ও অনুসারী। আমাদের ধর্মীয় ইতিহাস ও সভ্যতার আদি শিকড় আমরা ভুলে যেতে পারি না। আজকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সর্বজনীনতার নামে যারা সংস্কৃতির ছলে নব্য প্যাগানবাদ চাপিয়ে আমাদেরকে বৈদিক সভ্যতার দিকে ধাবিত করতে চায়, তাদের এই ধূর্ত ইন্ডিয়ান প্রকল্প ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে। সেজন্য পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনকে সবার করে তুলতে তৌহিদবাদী গণসংস্কৃতির দিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে ফিরে আসার জোর আহবান করছি।
মুসলমানরাই বাংলা সনের প্রবর্তক- এমনটা দাবি করে হেফাজতের ওই দুই শীর্ষ নেতা বলেন, মুসলমান মাত্রই সব ধরনের প্যাগানবাদী সংস্কৃতি ও বোধবিশ্বাস থেকে মুক্ত। কিন্তু মুসলমান হয়েও যারা তৌহিদি চেতনার প্রশ্নে আপস করবেন, তারা বড়জোর সেক্যুলার হতে পারেন। কিন্তু কোনোভাবেই আর মুসলমানি সত্তা রক্ষা করতে পারেন না। ইন্ডিয়ার মদদপুষ্ট মূর্তিবাদী বা প্যাগানবাদী সাংস্কৃতিক ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আমরা বাংলাদেশের সমগ্র মুসলিম জনতাকে সচেতন হতে আহবান করছি।