পূর্বদেশ ডেস্ক
দীর্ঘ ৩৩ দিন পর বিকল্প নৌরুট চালুর একদিন পর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল আবারও ব্যাহত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে একটা নৌযানও ছেড়ে যেতে পারেনি টেকনাফ থেকে। মিয়ানমারের সংঘর্ষের জেরে ভয়ে ট্রলার ছাড়েননি মালিকরা।
এই রুটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, টেকনাফ সংলগ্ন মিয়ানমারে সংঘর্ষের কারণে টেকনাফের গোলারচর বিকল্প রুটের কোনও ট্রলার শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে আজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। সেন্টমার্টিন থেকে একটি ট্রলার দুপুরে নিরাপদে টেকনাফে পৌঁছেছে। খবর বাংলানিউজের।
পরিস্থিতি শান্ত হলে আজ এ রুটে ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল করবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, গোলারচর হয়ে এই রুটটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বর্তমানে নাইক্ষ্যংদিয়া হয়ে আগের রুটটি ফিরিয়ে আনার কোনও উপায় জানা নেই।
গত ৬ জুন থেকে নাফ নদের মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে বাংলাদেশি ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলির ঘটনায় কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও টেকনাফ উপজেলার মধ্যে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, ১৪ জুন ঈদুল আজহার আগে কক্সবাজার থেকে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে গিয়েছিল। পরদিন জাহাজটি ফিরে আসে।অন্যান্য কিছু ট্রলারও পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের জন্য বিকল্প রুটে গেছে। তবে ৬ জুন থেকে দ্বীপ ও মূল ভূখন্ড টেকনাফের মধ্যে নিয়মিত চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সর্বশেষ গত রবিবার টেকনাফের কায়ুকখালি খাল থেকে তিনটি সার্ভিস ট্রলার শতাধিক যাত্রী, কয়েক বস্তা চাল-ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে সেন্টমার্টিন যায়। একইভাবে সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি সার্ভিস ট্রলার ও তিনটি স্পিডবোটে প্রায় ২০০ যাত্রী নিয়ে টেকনাফে এসেছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান।
এদিকে সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ পৌরসভা ও এর আশপাশের এলাকা। নাফ নদের ওপারে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষের জেরে এসব ঘটনা ঘটছে।