ভদন্ত শুদ্ধানন্দ মহাস্থবির ছিলেন খুব সাদা মনের মানুষ ছিলেন

97

সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা’র সহ-সভাপতি, ভদন্ত শুদ্ধানন্দ মহাস্থবির’র এর অন্তোষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজান বিমলানন্দ বিহারের অধ্যক্ষ উপ-সংঘরাজ স্মৃতিধর ড. শীলানন্দ মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সহ-সভাপতি বিমুক্তিবারিধি, বিদর্শনাচার্য রতœপ্রিয় মহাস্থবির। উদ্বোধক ছিলেন জামিজুরী সুমনাচার বিদর্শনারামের অধ্যক্ষ ভদন্ত শীলরক্ষিত মহাস্থবির। এতে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন সাতবাড়িয়া বেপারীপাড়া রত্মাংকুর বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত এল. অনুরুদ্ধ মহাস্থবির। প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন চন্দনাইশ ভিক্ষু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ স্থবির। স্মৃতিচারণ করেন শীলঘাটা পরিনির্বাণ বিহার ও পল্লী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি শিক্ষক মৃদুল কান্তি বড়–য়া, সুজন বড়–য়া। ভদন্ত শুদ্ধানন্দ মহাস্থবিরের স্মৃতিচারণ শেষে পঞ্চশীল ও অনিত্য দের্শনার মাধ্যমে পূর্ণদান করেন। ২য় পর্বে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহামুনি মহানন্দ সংঘরাজ বিহার অধ্যক্ষ মাননীয় উপ-সংঘরাজ শাসন স্তম্ভ বিচিত্র ধর্মকথিক ধর্মপ্রিয় মহাস্থবির। প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি। উদ্বোধক ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দানবীর রাখাল চন্দ্র বড়–য়া, প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন সংঘরাজ পূর্ণাচার ভিক্ষু সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক ড. সংঘপ্রিয় স্থবির। মূখ্য আলোচক চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ এর পালি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. অর্থদর্শী বড়–য়া, স্বাগত ভাষণ দেন ব্রহ্মদত্ত বড়–য়া, দক্ষিণ হাশিমপুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল জব্বার চৌধুরী, ভদন্ত অতুলানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দেবানন্দ মহাস্থবির, কর্মবীর ভদন্ত দেবমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত সোমানন্দ মহাস্থবির, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার অর্থ সম্পাদক ভদন্ত জিনরতœ স্থবির, ভদন্ত ধর্মদর্শী মহাস্থবির, জিনানন্দ মহাস্থবির, দীপঙ্কর স্থবির, উদযাপন কমিটি ও বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব এস লোকজিৎ স্থবির, অশোক বড়–য়া, ৮নং হাশিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীরুল ইসলাম চৌধুরী, এফ এম দিদারুল আলম, জয়শান্ত বিকাশ বড়–য়া, রূপক কুমার বড়–য়া, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক ভিক্ষু ও আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান জে.বি.এস আনন্দবোধি ভিক্ষু ও ভদন্ত রতনানন্দ ভিক্ষু’র মঙ্গলাচরণের মাধ্যমে সমগ্র অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। বক্তারা স্মৃতিচারণে বলেন, ভদন্ত শুদ্ধানন্দ মহাস্থবির ছিলেন খুব সাদা মনের মানুষ। উচ্চ বাক্য করে কাউকে কোনদিন ব্যবহার করেননি। সবার সাথে মৃদুভাষী ছিলেন এবং তৃ² বুদ্ধি সম্পন্ন ছিলেন যেকোন সমস্যায় উপস্থিত বুদ্ধির মাধ্যমে সেটির সমাধান করতে পারতেন। তাই ভান্তেকে হারিয়ে আমরা আজ মর্মাহত এবং বেদনাহত। বিহারের একক প্রচেষ্টায় উন্নয়ন ও গ্রামকে একতা রাখার কাজে ভান্তের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ছোট বেলা থেকে এই গ্রাম থেকে শ্রমণ এবং ভিক্ষু হয়ে ছিলেন। ভদন্ত শুদ্ধানন্দ মহাস্থবিরকে শেষ শ্রাদ্ধা জ্ঞাপন করে বেতার শিল্পী তাপস বড়–য়া একক সংগীত পরিবেশন করেন অনুষ্ঠানের যৌথ সঞ্চালনায় ছিলেন ভদন্ত বিনয় রক্ষিত স্থবির, ভদন্ত শীলজ্যেতি স্থবির, মিসেস স্বেতা চৌধুরী, নিক্কন বড়–য়া, উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্চায়ন বড়–য়া, প্রান্ত বড়–য়া, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কুন্তল বড়ুয়া। বিজ্ঞপ্তি