ওয়াছিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছৈয়দ মাওলানা আবু ছালেহ্ বলেছেন, ইবাদত বন্দেগী পালনে আল্লাহর পক্ষ থেকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই সমভাবে আদিষ্ট। যেজন্য সর্বাগ্রে শিক্ষার্জনের আবশ্যকীয়তা রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পবিত্র কোরআন নাজিল করে মহান আল্লাহপাক সর্বপ্রথম শিক্ষা গ্রহণের নির্দেশনাই দিয়েছেন। আর তা পূর্ণমাত্রায় আদায়ের জন্য ইলমে দ্বীন শিক্ষা আবশ্যক। সুতরাং শিক্ষার্জন থেকে নর-নারী কাউকে বাদ দেয়া যাবে না। সর্বাগ্রে শিক্ষার্জন করা প্রধানতম ফরজ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। ইসলামে নারী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নারীশিক্ষার বিকল্প নেই। প্রিয় নবী (দ.) সর্বপ্রথম নারীদেরকে শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করেছেন এবং এ বিধান সর্বপ্রথম বাস্তবায়ন করার সুবর্ণ সুযোগ পান রাসুলে পাক (দ.) এর প্রিয় সহধর্মিণী হযরত খাদীজাতুল কুবরা (রাদ্বি)। অতএব, নারী শিক্ষার বিষয়টাকে কোনভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। ইসলামের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের অভিপ্রায় নিয়ে বাকলিয়া মহিলা তাহফিজুল কোরআন (হিফজ) মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাকলিয়া মহিলা তাহফিজুল কোরআন (হিফজ) মাদ্রাসার উদ্যোগে মাদ্রাসার পরিচালিকা শাহিন জামান তারিন সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১৯ জানুয়ারি সকাল ১০টায় হিফজ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। পূর্ব বাকলিয়া নূরে মদিনা একাডেমির পরিচালক মাওলানা হাফেজ ওসমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়াছিয়া আহমদীয়া সুন্নীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছৈয়দ মাওলানা আবু ছালেহ। প্রধান বক্তা ছিলেন কল্পলোক আত তিবইয়ান একাডেমির অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ উল্লাহ মোজাফফর। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি কৃতি ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি