বোয়ালখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

2

বোয়ালখালী প্রতিনিধি

বোয়ালখালীর আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজল দে’র বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. মুজাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের সম্মানিভাতা এবং প্রাচীনতম ধোরলা-কানুনগোপাড়া আরবান কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে গত ২০ অক্টোবর সরেজমিনে তদন্তে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা। এসময় শতাধিক ভুক্তভোগী তাদের অর্থ আত্মসাৎ ও দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চালানো জুলুমের কথা বলেন এবং দ্রুত প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানান। এসময় কয়েকজন ইউপি সদস্য তাদের সম্মানী ভাতা, জনসাধারণের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ভাতা, চাল ও অন্যান্য সরকারি বরাদ্দ তার নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদের বণ্টন, ওয়ারিশান সনদ নিতে বৃহৎ অংকের টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে অফিস না করার ফলে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। জনসাধারণ তাদের নাগরিক অধিকার ও সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অতিসত্বর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা এসকান্দর মিয়া বলেন, তিনি একটি ওয়ারিশান সনদ নিতে গেলে তাকে চেয়ারম্যান কাজল দে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। তিনি বিষয়টি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে ইউএনওর নির্দেশে তাকে ওয়ারিশান সনদ দেন।
অভিযোগকারী মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, কাজল দে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক থাকায় ইউনিয়নের বিভিন্ন কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ফলে আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক কল্যাণে একজন দক্ষ প্রশাসক নিয়োগ দিলে জনসাধারণ তাদের নাগরিক সেবা পাবে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান কাজল দে এর সাথে যোগাযোগ করতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।