পূর্বদেশ ডেস্ক
জাতীয়করণের দাবিতে কর্মবিরতি ও আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের ‘ক্ষতি পুষিয়ে দিতে’ সাপ্তাহিক ছুটির দিন গতকাল শনিবার ক্লাস নেওয়া হয়েছে বেশকিছু এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বার্ষিক পরীক্ষা ও শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি বিবেচনায় এদিন ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগের কথা বলছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আন্দোলনের কারণে বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আট দিন শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে, জাতির ঋণ পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে শনিবার বন্ধের দিনেও জোটের আহবানে সারা বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম চলেছে। বার্ষিক পরীক্ষার আগে আগামী ১, ৮ ও ১৫ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস চলবে।
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ নির্ধারণ, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে গত ১২ অক্টোবর থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এরপর দিন ১৩ অক্টোবর থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করেন তারা।
গত ২১ অক্টোবর সরকার বাড়ি ভাড়া ভাতা বাড়িয়ে মূল বেতনের ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে তারা কর্মবিরতির কর্মসূচিও প্রত্যাহার করেন।










