বেকারত্ব কমাতে ফিরতে হবে শহীদ জিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে

1

মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের যে পথ সুগম করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সে পথে হাঁটলে দেশের বেকারত্ব হ্রাস পাবে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে খুলশী, পাহাড়তলী ও আকবর শাহ থানা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে শহীদ ওয়াসিম আকরাম পার্কের নামফলক উন্মোচন ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে মুসলিম দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলোর সাথে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দেন।
দিনব্যাপী কর্মসূচি খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে শুরু হয়। সকালে শহীদ ওয়াসিম আকরাম পার্কের নামফলক উন্মোচন ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের যুগ্ম সম্পাদক ডা. শাহনেওয়াজ সিরাজ মামুনের সঞ্চালনায় সকাল ১০টায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য সংস্কার বিষয়ক কমিটির বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য প্রফেসর ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশিদ হারুন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম নছরুল কদির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মো. শাহ আলম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু, কেন্দ্রীয় রেলওয়ে শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম আর মঞ্জু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দিন নাহিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মেয়র বলেন, জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির মূল দর্শন ছিল মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি রক্ষা করা। এই নীতির ফলে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। আমাদের জাতীয় আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস রেমিট্যান্স। আজ যে সংকটময় সময় অতিক্রম করছি, তাতে রেমিট্যান্সই অর্থনীতির বড় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, শহীদ জিয়া দেশের শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তাদের বিদেশে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আজও তার সেই কূটনৈতিক কৌশল অনুসরণ করলে আমরা বৈদেশিক কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারবো, যা তরুণ সমাজের বেকারত্ব দূরীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন জিয়াউর রহমানের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টার কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানই প্রথম সার্ক গঠনের প্রস্তাব দেন। এমনকি ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এভাবেই মুসলিম বিশ্বের আস্থাভাজন হয়ে তিনি বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই নীতির ফসল আজও আমরা ঘরে তুলছি রেমিট্যান্সের মাধ্যমে। তিনি আরও যোগ করেন, দেশের উন্নয়ন শুধু অবকাঠামো দিয়ে হয় না, মানবসম্পদের উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই কর্মসূচি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি বার্তা, আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার আশা প্রকাশ করেন তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের অনেক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। আমরা এখনো পর্যন্ত তাদের স্মৃতিস্মরণে স্মৃতিসৌধ বা পার্ক করতে পারিনি। তাই আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে পার্ক করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। খবর বিজ্ঞপ্তির