স্পোর্টস ডেস্ক
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে পরিবর্তনের গুঞ্জন বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এমনকি জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবি সভাপতি হতে পারেন, এ কথাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ চাউর হয়েছিল। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যাচ্ছিল না।
তবে বুধবার রাত থেকেই গুঞ্জন সত্য হতে শুরু করে। জানা গেছে, আরও বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে তৎপরতা শুরু হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ পদে পরিবর্তন আনার বিষয়ে। তারই ধারাবাহিকতায়, বুধবার রাতে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাসভবনে তার সঙ্গে দেখা করেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ।
সেখানে ফারুক আহমেদকে সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। যদিও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন তুলে ধরেন বিসিবি সভাপতি। জানা গেছে, সেসব প্রশ্নের জবাব দেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে দু-একদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন ফারুক আহমেদ।
তখনই জানা গেছে, সরকার আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে অন্তর্র্বতীকালীন দায়িত্ব দিতে চাচ্ছে। আবার কয়েকদিন আগে আমিনুল ইসলাম বুলবুল দেশে আসায় এই গুঞ্জনের ডালপালা বেশি ছড়াতে থাকে।
দেশের প্রতিষ্ঠিত একটি গণমাধ্যমকে নাকি গতকাল দুপুরের আগেই আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলে দিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। বুলবুল বলেছেন, ‘আমাকে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিতে এখনো বলা হয়নি। তবে ১০-১৫ দিন আগে আমার সঙ্গে উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তারা আমাকে কোনো একটা ভূমিকায় কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে চাচ্ছেন। আমিও তাতে রাজি হয়েছি।’
বুলবুলের এই বক্তব্যেই পরিষ্কার, বোর্ড যে কোনো উপায়েই হোক, ফারুককে সরিয়ে দেবে। তবে, সেটা খুব সতর্কতার সঙ্গে। আইসিসির বাধ্যবাধকতা মেনে। কারণ, সরকারের হস্তক্ষেপ হচ্ছে এটা প্রমাণ হলেই আবার আইসিসির নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসতে পারে।