মানসিক অস্বস্তি কিংবা হতাশাগ্রস্ত হওয়া হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, ঠিক যতটা বাড়ায় ধূমপান ও স্থুলতা। আর এরকম ফলাফলই পাওয়া গিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্যান ফ্রানসিস্কো (এইসিএসএফ)’য়ের গবেষণায়। মানসিক রোগীদের চিকিৎসার গুরুত্বের উপর নতুন করে আলোকপাত করে এই গবেষণা।
যারা উচ্চমাত্রায় মানসিক অশান্তি আর হতাশায় ভোগেন তাদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে ৬৫ শতাংশ, স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে ৬৪ শতাংশ, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে ৫০ শতাংশ আর গেঁটেবাত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে ৮৭ শতাংশ। খবর বিডিনিউজের
গবেষণার প্রধান লেখক, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্যান ফ্রানসিস্কো (এইসিএসএফ)’য়ের আন্দ্রেয়া নাইলস বলেন, ‘ঝুঁকি বৃদ্ধির এই মাত্রা যারা ধূমপায়ী কিংবা স্থুলকায় তাদের সঙ্গে মিলে যায়’। ‘হেলথ সাইকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত হওয়া এই গবেষণায় আরও জানানো হয়, ক্যান্সারের ঝুঁকির সঙ্গে মানসিক অস্বস্তি ও হতাশার কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গবেষণার সহকারী লেখক, একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ওইফ ও’ডনোভান বলেন, ‘মানসিক চাপের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্কের বিষয়ে আগের বহু গবেষণার সঙ্গে আমাদের গবেষণার ফলাফলের মিল রয়েছে’। ক্যান্সার রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়ায় মানসিক চাপ, অস্বস্তি হতাশা ইত্যাদি বিষয় জুড়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেন ও’ডনোভান।
গবেষক দলটি আরও দেখেন- মাথাব্যথা, পেটের গোলমাল, পিঠব্যথা, হাঁসফাঁস ধরা ইত্যাদি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গেও মানসিক চাপ এবং হতাশার সম্পর্ক রয়েছে। এদের মধ্যে মাথাব্যথার সম্ভাবনা বাড়ে প্রায় ১৬১ শতাংশ।
নাইলস বলেন, ‘মানসিক অশান্তিও হতাশা শারীরিক স্বাস্থ্যহানীর সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্ক যুক্ত। তারপরও এই বিষয়গুলো ধুমপান ও স্থুলতার মতো সচেতনতা পায়না’।
এই গবেষণার জন্য ১৫ হাজার বয়স্ক মানুষকে চার বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। ও’ডনোভান বলেন, ‘মানসিক সমস্যাকে দীর্ঘদিন অবহেলা করার পরিণতি তুলে ধরে এই গবেষণা’।