বর্তমান বিশ্বে সাম্য, মৈত্রী ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাসূল (দ.) আদর্শই সর্বশ্রেষ্ঠ মডেল। রাসূল (দ.)’র নবুয়ত প্রকাশের পূর্বে ও পরে রাসূল (দ.) একটি অন্ধকার বিশৃংখল জাতির মধ্যে আদর্শ চরিত্রের মাধ্যমে যে শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করছেন, বিশ্বের ইতিহাসে তা এখানো বিরল। তাঁর নবুয়ত প্রকাশের পূর্বে যেমন চরিত্র অনুসরণীয় তেমনি নবুয়ত প্রকাশের পরেও চরিত্র অনুস্মরণীয়।
শনিবার বাদ মাগরিব হতে আঞ্জুমানে মুহিব্বানে রাসূল (দ.) গাউছিয়া জিলনী কমিটির উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরীর জালালাবাদ হাশেমী নগরস্থ দরবারে হাশেমীয়া আলীয়া শরীফে আহছানুল উলুম জামেয়া গাউছিয়া কামিল মাাদ্রাসা সংলগ্ন ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ময়দানে বিশ্ব মানবতার মুক্তির অনন্য দিশারী প্রিয় নবী (দ.)’র শুভাগমনের মাস মাহে রবিউল আউয়াল উপলক্ষে ৪৩তম আন্তর্জাতিক ১২ দিনব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) শীর্ষক সেমিনারের পঞ্চম দিবসে বক্তারা একথা বলেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের চেয়ারম্যান আল্লামা কাযী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী (মুজিআ)’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. আল্লামা মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন আযহারী, মাওলানা হাফেজ ছৈয়দ মুহাম্মদ রুহুল আমিন আল কাদেরী, মাওলানা নুর মুহাম্মদ আল কাদেরী, মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল হক হোসাইনী। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন মাওলানা ছৈয়দ মুহাম্মদ সালা উদ্দীন আলকাদেরী।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু, শাহজাদা মাওলানা মুফতি কাযী মুহাম্মদ আবুল এরফান হাশেমী, মাওলানা ইদ্রিছ আনছারী আলকাদেরী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা কাজী কামরুল আহছান, আল্লামা হাশেমী ইসলামী মিশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান কাযী মুহাম্মদ আবুল ফোরকান হাশেমী, মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল আবছার আলকাদেরী, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ছৈয়দ হোছাইন, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মাওলানা ফজলুল করিম দায়েম, মাওলানা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, মাওলানা মহিউদ্দীন আব্বাছ প্রমুখ। পরিশেষে মিলাদ কিয়াম এবং দেশ, জাতি ও মুসলিম জাহানের সমৃদ্ধি, উন্নতি কামনা করে আল্লামা হাশেমী মুদ্দাজিল্লুহুল আলীর বিশেষ মুনাজাত ও তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে সেমিনারের পঞ্চম দিবসের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। বিজ্ঞপ্তি