সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আল আযহারী
বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত, নিরাপত্তা ও কল্যাণের মূর্তপ্রতীক, সৃষ্টি জগতের জন্য রহমতের বার্তাবাহক ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তাআলা চয়ন করে নিয়েছেন মানবজাতির ইহকালীন শান্তি ও কল্যাণ এবং পরলৌকিক সফলতা ও মুক্তি সুনিশ্চিত করার জন্য। তাঁর বরকতময় জীবন মানবসভ্যতার জন্য অনুপম উপহার। প্রতিটি মানুষের জন্যই তাঁর জীবন অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তিনি অবিস্মরণীয় ক্ষমা, মহানুভবতা, বিনয়-নম্রতা, সত্যনিষ্ঠতা প্রভৃতি বিরল চারিত্রিক মাধুর্য দিয়ে বর্বর আরব জাতির আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ফলে সবাই তাঁকে ‘আল-আমীন’ বা বিশ্বস্ত ও আমানতদার উপাধিতে ভ‚ষিত করেছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চরিত্রের প্রশংসায় ও তাঁর অসাধারণ চারিত্রিক মাধুর্য ও অনুপম ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি দিয়ে আল্লাহ ্ তাআলা এরশাদ করেন, ‘এবং নিশ্চয় আপনি সুমহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত’। (সূরা কালাম :৪)
আল্লাহ তাআলা আরও এরশাদ করেন, ‘যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রয়েছে রাসূলুল্লাহর মাঝে অনুকরণীয় উত্তম আদর্শ।’ (সূরা আহযাব: ২১)।
সর্বোত্তম আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবেই তাঁকে বিশ্বমানবতার কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছিল। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, ‘আমি উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি। (মিশকাত-৪৮৭০)।
ইতিহাসের পাতায় খোঁজ করলে এমন অনেক বিস্ময়কর মহান মনীষার উদাহরণ পাওয়া যায়, যাঁরা স্বতন্ত্র আদর্শ ও কৃতিত্বের কারণে মানুষের মাঝে আজো শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে স্মরণীয় হয়ে আছেন। এ সব মহান ব্যক্তিদের মধ্যে পরিপূর্ণ ও সুমহান ব্যক্তিত্ব হলেন দোজাহানের সর্দার, আমাদের প্রিয় নবীজি হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যাঁকে নিয়ে গর্ব করে পৃথিবীর ইতিহাস। যাঁর আদর্শে মানুষ খুঁজে পায় সঠিক পথের দিশা। যাঁকে নির্দ্বিধায় অনুসরণ করে আসছে হাজার বছর ধরে কোটি কোটি মানুষ। যাঁর চিন্তা-চেতনা বিস্তার লাভ করেছে সারা পৃথিবীতে এবং যাঁর পূর্ণতা ও বিশ্বজনীনতা অন্যদের চেয়ে ভিন্ন। যা কোনো যুগ, জীবন ও ভৌগলিক সীমানা ছাড়িয়ে জগতের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্তৃত হয়ে আছে। জলে-স্থলে, আপন ও পর সকলে তাঁর থেকে উপকৃত হয়েছে এবং হচ্ছে।
তিনি মানবজাতিকে আহবান করেছেন সত্য, সরল-সঠিক ও শান্তির পথে। যাতে তারা জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারে আর ইহকালীন শান্তি ও পারলৌকিক সৌভাগ্য লাভ করতে সক্ষম হয়। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শান্তি, মুক্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের জন্য বিশ্ববাসীর রহমত হিসেবে আখ্যায়িত করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতরূপে প্রেরণ করেছি।’ (আল-আম্বিয়া: ১০৭)
তাঁর পবিত্র অস্তিত্ব, স্বভাব-প্রকৃতি, আচার-আচরণ সব কিছুই ছিল সেই অফুরন্ত রহমতের অনন্য ধারায় সিক্ত। পৃথিবীর সর্বস্তরের মানুষের ব্যক্তি জীবনের সীমিত গন্ডি থেকে আরম্ভ করে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক জীবনের পরিব্যপ্তিতেও উপচে পড়েছে রহমত ও দয়ার সিঞ্চিত ধারা। তাঁর রহমত ও দয়ার হতে বাদ পড়েনি চতুষ্পদ জন্তুও। তিনি শুধু মানবজাতির জন্যই দয়ালু ছিলেন না বরং সকল জীবজন্তুর জন্যও দয়ালু ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, ‘তোমরা দয়া করো, দয়া পাবে। ক্ষমা করো, ক্ষমা পাবে’ (আহমদ)।
উল্লেখ্য যে, আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন জনপদে বিভিন্ন গোত্রের নিকট যে সকল নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন তাঁদেরকে নির্দিষ্ট গোত্রের জন্য বা এলাকার জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শেষ নবী হিসাবে সমগ্র বিশ্ব মানবতার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আমরা আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যই সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী বানিয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বোঝে না।’ (সূরা সাবা : ২৮)।
অশান্ত পৃথিবীতে শান্তির স্নিগ্ধ-বাতাস বইয়ে দেওয়ার জন্যেই মহান আল্লাহ তাঁকে সৃষ্টি করেছেন। শান্তির নিমিত্ত যাঁর জন্ম, আজীবন সে ঠিকানায় তিনি ছুটে চলেছেন। তাঁর শুভজন্ম থেকে বরকতময় ওফাত পর্যন্ত ছুটেছেন শান্তির ফেরি করে। শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় করেছেন নিরন্তর সংগ্রাম ও সাধনা। তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তা সভ্যতার ইতিহাসে নজিরবিহীন।
সর্বকালীন ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আরবের উষর-মরু অঞ্চলে প্রায় সাড়ে ১৪০০ শ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন; তখন ছিল বর্বরতা, অজ্ঞতা ও বিধ্বস্ত মানবতার ‘জাহেলি যুগ’। সামাজিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত শোচনীয়। গোত্র কলহ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, মারামারি, হানাহানি, সামাজিক বিশৃঙ্খলার নৈরাজ্যপূর্ণ অবস্থার মধ্যে নিপতিত ছিল গোটা সমাজ। সামাজিক সাম্য- শৃঙ্খলা, ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ, নারীর মর্যাদা ইত্যাদির কোনো বালাই ছিল না। জঘন্য দাসত্ব প্রথা, সুদ, ঘুষ, জুয়া মদ, লুন্ঠন, ব্যভিচার, পাপাচার, অন্যায়-অত্যাচারের চরম তান্ডবতায় সমাজ কাঠামো ধসে পড়েছিল, এমন এক দুর্যোগময় যুগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাব।
গোত্রনেতাদের স্বেচ্ছাচারিতা-হঠকারিতা, কুলিনদের দাম্ভিকতা, পুঁজিবাদীদের আগ্রাসী থাবা কত মারাত্মক-ভয়ঙ্কর এবং মানবসমাজ ও জীবনযাত্রা অশান্তি, নিরাপত্তাহীনতার গহব্বরে তলিয়ে যেতে পারে তা তিনি কৈশোরেই আঁচ করেছিলেন। তাই তিনি পৃথিবীতে শান্তির আবহ ও পরিবেশ গড়ে তুলতে পণ করেছিলেন। ঘোর তমসাচ্ছন্ন মানবজাতিকে হিদায়াত ও বিশ্বময় সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার মানসে তিনি যে মানবজাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হবেন তা তাঁর শৈশব ও জৌবন কাল থেকেই সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। বস্তুত সমাজে অনাচার, অবক্ষয় ও অশান্তি দেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মর্মপীড়ায় ভুগতেন এবং এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটা যৌক্তিক উপায় খুঁজে বের করতে মনোনিবেশ করেছিলেন।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শান্তি প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ ও পদ্ধতি ছিল অনন্য। দল-মত-গোত্রনির্বিশেষে আরবের জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সবার মধ্যে শান্তিচুক্তি ও সন্ধি স্থাপনের মধ্য দিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে তিনি সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর অনুপম চরিত্র-মাধুর্য ও সত্যনিষ্ঠার কথা বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তিনি যুদ্ধবাজ আরবদের শান্তির পতাকাতলে সমবেত করেন এবং বিবদমান গোত্রগুলো একটি সুসংহত জাতিতে রূপান্তরিত হয়।
ইসলামপূর্ব আরবে প্রচলিত ছিল গোত্রতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। এই শাসনব্যবস্থার নানামুখী নেতিবাচক প্রভাবে তাদের মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহ লেগে থাকত। জীবন ও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং মজলুম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি উদ্যমী ও শান্তিকামী যুবকদের নিয়ে কিশোর বয়সে ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে একটি শান্তিসংঘ গঠন করেন। তিনি ‘হিলফুল ফুজুল’ নামের শান্তিসংঘ গঠনের মাধ্যমে অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আর্তের সেবা করা, অত্যাচারীকে প্রতিরোধ করা, অত্যাচারিতকে সহযোগিতা করা, শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা এবং গোত্রীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা ছিল শান্তিসংঘের অঙ্গীকার বাণী। মানুষের কল্যাণে তাঁর গড়া স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানটি পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সাংগঠনিক রীতিতে প্রতিষ্ঠিত সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
মদিনায় হিজরতের পর তিনি সেখানে শান্তিপূর্ণ ইসলামি সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। মদিনায় বসবাসরত মুসলমান, ইহুদি, খ্রিষ্টান, পৌত্তলিক প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজমান কলহ-বিবাদ, হিংসা-বিদ্বেষপূর্ণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে তিনি একটি ইসলামি সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার সংকল্প করেন। তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতাদের আহবান করে একটি বৈঠকে বসে তাঁদের বিশ্বমানবতার ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আবশ্যকতা বুঝিয়ে একটি সনদ প্রস্তুত করেন। মদিনায় বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সবাই এ সনদ মেনে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিশ্বশান্তির অগ্রদূত রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, নাগরিকদের মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখাসহ নানা দিক বিবেচনা করে মদিনার সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন মানবেতিহাসের প্রথম প্রশাসনিক সংবিধান ‘মদিনা সনদ’।
শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনবদ্য ভূমিকার অনন্য স্মারক হুদাইবিয়ার সন্ধি। বাহ্যিকভাবে পরাজয়মূলক হওয়া সত্তে¡ও শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তিনি এই সন্ধিতে স্বাক্ষর করেন।
তিনি প্রতিশোধ নেয়ার সামর্থ্য থাকা সত্তে¡ও ক্ষমা ও মার্জনা করার মহৎ গুণের অধিকারী ছিলেন। মক্কা বিজয়ের পর কোরাইশদেরকে তিনি বললেন, হে কোরাইশগণ! তোমাদের সাথে এখন আমার আচরণ কীরূপ হাওয়া উচিৎ? তারা বলল, আপনি উদারমনস্ক ভাই ও উদারমনস্ক ভাইয়ের ছেলে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: ‘যাও, তোমরা মুক্ত।’ (ইবন হিশাম: ২/৪১২)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পুরো জীবনের সারকথা বিদায় হজের ভাষণ। সেখানে তিনি উপস্থিত সবাইকে শান্তির চূড়ান্ত বার্তা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁর ভাষণের প্রতিটি শব্দই ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠার হেকমত ও কৌশল। যেমন তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ এবং তোমাদের সম্ভ্রম পরস্পরের জন্য আজকের এই দিন, এই মাস এবং এই শহরের মত পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ।’ [বুখারী-৬৭]
জর্জ বার্নার্ড শ বলেন, আমাদের মধ্যযুগীয় পাদ্রিরা হয় অজ্ঞতার কারণে, দুঃখজনক বিদ্বেষের ফলে তাঁর মহান ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর প্রচারিত ইসলাম ধর্মকে কালো অবয়বে উপস্থাপন করেছেন। আমি পূর্ণ দিবাদৃষ্টিতে এ কথা ঘোষণা করতে চাই যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন মানবজাতির পথপ্রদর্শক ও মুক্তিদাতা। বরং আরো স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই ও আমি বিশ্বাস করি, তাঁর মতো ব্যক্তির নিকট যদি আধুনিক বিশ্বের একনায়কতন্ত্র অর্পণ করা হতো তবে এর সমস্যাগুলো তিনি এমনভাবে সফলতার সাথে সমাধান করতেন যা বহু প্রতীক্ষিত শান্তি ও সুখ আনয়ন করতো। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে, মুহাম্মদের ধর্মবিশ্বাস আগামী দিনের ইউরোপের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, যা ইতোমধ্যে বর্তমান ইউরোপে গ্রহণযোগ্যতা পেতে আরম্ভ করেছে।’ [দ্যা জেনুইন ইসলাম:১/৮]
দেশে দেশে হানাহানি, যুদ্ধবিগ্রহ, হতাশা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, রাজনৈতিক সহিংসতা, মূল্যবোধের অবক্ষয়, ধর্মীয় বিদ্বেষ, সন্ত্রাস, অবিচার, জুলুম, হত্যা, দুঃশাসন, অনৈতিক প্রতিশোধ, আদর্শ নেতৃত্ব সঙ্কট ইত্যাদি সমস্যাসংকুল বিশ্বে ভারসাম্য, সহনশীল, সংযত এবং আখেরাতমুখী আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পৃথিবীকে শান্তির রাজ্যে পরিণত করতে হলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুপম জীবনাদর্শ এবং সর্বজনীন শিক্ষা অনুসরণের বিকল্প নেই। তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নেই রয়েছে মানবজাতির বহুপ্রত্যাশিত শান্তি, সম্প্রীতি, নিরাপত্তা ও উভয় জাহানের সফলতা।
লেখক : বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় খতীব, মুসাফিরখানা জামে মসজিদ