হুঁশিয়ারি দিয়েও কাজ না হওয়ায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এবার ‘কঠোর’ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার ঢাকায় দলের এক সংবাদ সম্মেলনে এবং ফেনীতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের একথা জানান।
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রায় দেড় ডজন আসনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা একাদশ সংসদ নির্বাচনে এখনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন; কয়েকটি স্থানে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘাতও ঘটেছে।
নিজের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যাওয়ার পথে শনিবার ফেনীর দাগনভূঞায় যাত্রাবিরতির সময় কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, আপনারা অপেক্ষা করুন, দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই দিন ঢাকায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নাই।
কিছু প্রার্থী আছে, যাদেরকে আমরা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে এবং আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করতে হবে। নতুবা আমরা কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব, বলেন নানক। খবর বিডিনিউজের
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের সময়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগও করা হয়।
নানক বলেন, রিজভীর (বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব) অসংলগ্ন কথাবার্তা ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে যা শুনলে স্বয়ং ইবলিশ শয়তানও লজ্জা পেতে পারে।
আপনারা দেখছেন যে, তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে কিভাবে লজ্জাকর মন্তব্য করেছেন। মিথ্যা বলা যাদের অভ্যাসে পরিণত হয়, তাদের পক্ষে সত্যের পথে ফিরে আসা অত্যন্ত দুরূহ।
বিএনপি ‘মিথ্যাচার’ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ করেন নানক।
বিএনপির প্রার্থীদের প্রচারে বাধার অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এটা বিএনপির পুরানো অভ্যাস। তারা এই মিথ্যাচার নির্বাচনের দিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত করবে।