রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
ষাটোর্ধ সাহারা বেগম রাঙামাটির রাজস্থলী থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে এসেছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় জরুরি বিভাগে তাকে নেবুলাইজ করা যায়নি। পরে তাকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সাহারা বেগমের মতো হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা অন্তত ৭ জন রোগী নেবুলাইজার সেবা না পেয়ে ফেরত গেছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় আন্তঃবিভাগেও চিকিৎসকরা রোগীকে সেবা দিতে পারেননি। হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে চিকিৎসা দিতে হয়েছিল মোবাইল ও মোমবাতির আলোতে।
পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদর, পৌর এলাকা, পোমরা, বেতাগীসহ বিভিন্ন এলাকা ১৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত কার্যক্রম বিঘিœত হয়।বাসা-বাড়িতে প্রাত্যহিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। পানি সংকটে পড়েন শত শত মানুষ। অনেকের মুঠোফোনে চার্জ না থাকায় টেলি যোগাযোগ করতে পারেননি।
রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ডিজিএম ভজন কুমার বর্মন বলেন, বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। গাছ সরিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সময় লেগেছে। স্থায়ী ১৬ জন ও অস্থায়ী ২০ জন কর্মী থাকলেও বেশিরভাগই আন্দোলনে। কয়েকজন কর্মী দিয়ে কাজ চালাতে হয়েছিল।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ২ এর জিএম মামুন অর রশিদ বলেন, লোকবল কম থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সময় লেগেছে।