‘বিতর্ক’ এড়াতে ফাওজুল কবিরের দুই ‘ফর্মুলা’

1

দলীয় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠার পর বিতর্ক এড়াতে উপদেষ্টা পরিষদসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাময়িক নিয়োগপ্রাপ্তদের পরবর্তী সরকারের লাভজনক পদে না রাখার বিষয়ে অধ্যাদেশ জারির আহবান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলগুলোর বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার তিনি নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে এই আহবান জানান। খবর বিডিনিউজের
এ সংক্রান্ত তিনটি ফটোকার্ড শেয়ার করে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির লিখেছেন, প্রধান উপদেষ্টার সাথে তিন রাজনৈতিক দলের বৈঠকে উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। একটি দলের তালিকায় আমার নাম ও আছে। আত্মপক্ষ সমর্থনে শুধু এই টুকুই বলা যে, আমি পক্ষপাতদুষ্ট চিন্তা করতে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভ্যস্ত নই। সবসময় কোনরূপ অনুরাগ বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মঙ্গলবার রাতে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সেখানে তারা জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদল’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের কাছে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ করে তৈরি করার কথাও বলেছেন তিনি। পরের দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল আলাদা বৈঠক করে। তারা কয়েকজন উপদেষ্টার কর্মকান্ড নিয়ে সতর্ক করে এসেছেন বলে খবর আসে। এ অবস্থায় বিতর্ক এড়াতে নিজের অভিমত তুলে ধরে জ্বালানি উপদেষ্টা ফেইসবুকে লিখেছেন, তবুও প্রশ্ন যেহেতু উঠেছে এর নিষ্পত্তি করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টাবৃন্দ, বিশেষ সহকারীবৃন্দ, চুক্তি ভিত্তিক নিয়োজিত সকল কর্মকর্তাদের কেউই পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের (যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন) কোনো লাভজনক পদে কেউই অংশ নিতে পারবেন না, এই মর্মে একটি অধ্যাদেশ জারি করলে এ সমস্যার সুরাহা হতে পারে বলে আমি মনে করি। তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন তাদের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিধান প্রযোজ্য হবে না।