বিতর্কিত কর্মীদের স্থায়ী করতে চায় ওয়াসা

36

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোন ধরনের নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ‘যেমন ইচ্ছে তেমন’ কর্মী নিয়োগ দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। বিভিন্ন প্রকল্পে-প্ল্যান্টে অস্থায়ী, দৈনিক ভিত্তিক ও আউটসোর্সিং বিভিন্ন নামে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এসব কর্মী। যাদের স্থায়ী করার নামে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগও আছে। এসব বিতর্কিত নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের স্থায়ী বা নিয়মিতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এ জন্য বোর্ডসভা আহŸান করা হয়েছে।
আজ রবিবার বিকালে এ বোর্ড সভা হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও গত মাসে বোর্ডসভা আহবান করে সেটা স্থগিত করেছিল ওয়াসা।
সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত আছে, স্বৈরশাসকের সময়ে দেওয়া চুক্তিভিত্তিক সকল নিয়োগ বাতিল করা হবে। এমন অবস্থায় চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিগত ১৬ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে নিয়োজিত আছেন। তাছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ (চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার) সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সহসভাপতিও। সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসাবে তার নিয়োগ যে কোন সময় বাতিল হতে পারে। এ অবস্থায় বিতর্কিত নিয়োগগুলোর বৈধতা দেওয়ার পায়তারা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি একেএম ফজলুল্লাহ দপ্তরে গেলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অনেকে ‘লুকিয়ে’ আছেন। চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের সদস্যদের মধ্যেও কয়েকজন নিজেদের ‘লুকিয়ে’ রেখেছেন। এমন অবস্থার মধ্যে আজ চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের সভা আহŸান করা হয়েছে। বিকাল ৩টায় ওয়াসার প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। যদিও এতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম ব্যবহার করেও অংশ সুযোগ রাখা হয়েছে। ওয়াসা সচিব শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আলোচ্য সূচিতে রাখা হয়েছে, চট্টগ্রাম ওয়াসার বিভিন্ন বিভাগ/শাখায় সম্পুর্ণ অস্থায়ী, দৈনিক ভিত্তিতে ও আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কর্মরত সকল কর্মচারীসহ প্রকল্প/প্ল্যান্টে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের চাকরি স্থায়ীকরণ/নিয়মিতকরণ/নিয়োগ।
বিষয়টি নিয়ে ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করাহলেও কেউ কথা বলতে রাজি হননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, বোর্ড চেয়ারম্যান দলীয় নিয়োগ হওয়াতে ইউনিভার্সিটি থেকে পদ্যতাগ করেছেন। কিন্তু ওয়াসার চেয়ারম্যান পদ এখনও ধরে আছেন। এমডির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সরকার বাতিল করতে পারে। তার আগে তিনি সকল কিছুর বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।