বিজয় শিখা প্রজ্বলন করলেন নওফেল

25

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয় শিখা প্রজ্বলন করেছেন বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠ এলাকায় অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বিজয় শিখা প্রজ্বলন করেন।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বাঙালি জাতি কিভাবে হানাদারদের পরাজিত করেছিল, তার যথাযথ ইতিহাস নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার দায়িত্ব ও কর্তব্য সবারই।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের গল্প তরুণ প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজন শুরু করেছিলেন।
মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে এ বিজয় মেলা অবদান রাখছে। বঙ্গবন্ধুর কথা, তার আদর্শের কথা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছে।
বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মো. ইউনুছের সঞ্চালনায় বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধক্ষ আবদুচ ছালাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর, নগর যুবলীগের আহব্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, এই বিজয় মঞ্চে আমি নই, থাকার কথা ছিলো মহিউদ্দিন চৌধুরীর। এখানে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলতেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনাতেন। আজ মহিউদ্দিন চৌধুরী নেই। তবে আমার বিশ্বাস এই বিশাল সমাবেশ তিনি দেখছেন। আপনাদের আত্মার সঙ্গে তার আত্মার মিলন ঘটেছে।হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, আজ এখানে লালদিঘির ময়দানের চেয়েও বড় সমাবেশ হয়েছে। এখানে আমার অনেক ভাই-বোনেরা এসেছেন। আমি জানি আপনাদের এখানে আসার পেছনে একটাই কারণ মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতি আপনাদের ভালোবাসা। আমি আপনাদেরকে একটাই অনুরোধ করবো, শুধু একটি কথাই বলে যাবো আপনারা সবাই মহিউদ্দিন চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করবেন। তার জন্য দোয়া করবেন।
তিনি বলেন, একদিন চট্টগ্রামের জন্য চট্টগ্রামবাসীর জন্য মহিউদ্দিন চৌধুরীকে উৎসর্গ করেছিলাম। আজ চট্টগ্রামের জন্য চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমাদের সন্তান ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীকে উৎসর্গ করছি। আপনারা তার জন্যও দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রামে প্রথম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয়োজন করা হয়। আমৃত্যু এ বিজয় মেলা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।