সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় খালাস পাওয়ার পর ভারমুক্ত মির্জা আব্বাস অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার আমার পরিবার ধ্বংস করে দিয়েছে। যে যেখানে থাকুক, আল্লাহর বিচার থেকে কেউ রক্ষা পাবে না’।
আয়ের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদের মালিক হওয়া এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদক এ মামলা করেছিল সাবেক মন্ত্রী আব্বাসের বিরুদ্ধে।১৭ বছর পর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। ‘অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়’ মির্জা আব্বাসকে খালাস দেন তিনি। খবর বিডিনিউজের
রায়ের পর আদালত থেকে বেরিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনারা বিচারপতি মানিকের (আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক) অবস্থা দেখেছেন। কোরআনে আছে, আল্লাহ তাআলা যাকে বেইজ্জতি করেন, সেটা দেখিয়ে দেন। আমি মহৎ ব্যক্তি না, জীবনের বিনিময়ে কাউকে ক্ষমা করতে পারব না। এই বিচার আমি আল্লাহর কাছে চাই’।
২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিল আদালত। সাফাই সাক্ষ্যে মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, কৃষি পেশাজীবী থেকে তার আগের প্রজন্ম ব্যবসায়ী পরিবার হয়ে ওঠে। মতিঝিলের পীরজঙ্গী মাজার থেকে রাজারবাগের কাছে ফ্লাইওভার পর্যন্ত তার এবং পরিবারের জায়গা। ‘ধনাঢ্য পরিবার থেকে এসেছেন’ মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, তাকে বাঁকা পথে সম্পদ অর্জন করতে হয়নি। তার চাচা শহীদের নামে শহীদবাগের নামকরণ করা হয়। ঢাকার বিখ্যাত মাজেদ সরদার তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তার চাচা বিডি মেম্বার ও পাকিস্তান আমলে ইউনিয়ন পরিষদে প্রেসিডেন্ট ছিলেন। রাজনীতিতে তার চাচার হাত ধরেই প্রবেশ।
আব্বাসের ভাষ্য, তার নানার কাছ থেকে তার বাবা এবং তিনি ঢাকার খিলগাঁও রেলগেট থেকে রাজারবাগ পর্যন্ত পুরো এলাকার জমির মালিকানা পান। শাজাহানপুর থেকে রাজারবাগ মোড় পর্যন্ত যে রাস্তা তৈরি হয়েছে, সেটি তাদের মালিকানার জায়গায়।