নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় চাঁদাবাজির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা নিয়ে আলাপ করতে গত বৃহস্পতিবার রাতে চান্দগাঁও থানায় গিয়েছিলেন হাবিবুর রহমান নামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতা। তিনিও মামলার আসামি বলে জানার পর পুলিশ তাকে আটক করে। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে গতকাল শুক্রবার তাকে থানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চান্দগাঁও থানায় মামলার বিষয়ে কথা বলতে গেলে ইসলামী আন্দোলনের নেতা হাবিবুর রহমানকে পুলিশ এক পর্যায়ে আটক করে। খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা চান্দগাঁও থানা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে সকাল নয়টার দিকে তারা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় দলটির নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। চাপের মুখে পড়ে পুলিশ ওই মামলার বাদীকে থানায় ডেকে পাঠায়। এরপর বাদীর আপত্তি না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
হাবিবুর রহমান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চান্দগাঁও থানার সেক্রেটারি। থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নেওয়ার কারণে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে বলে নেতা-কর্মীদের অভিযোগ।
ইসলামী যুব আন্দোলন মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান জানান, চাঁদা আদায় বন্ধে গঠিত একটি কমিটিতে হাবিবুর রহমান যুক্ত ছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। বৃহস্পতিবার রাতে আটক হওয়া কয়েকজনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে থানায় গেলে সেখানেই হাবিবুর রহমানকে আটক করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, হাবিবুর রহমান নিজেই থানায় আসেন। আমাদের এক সোর্স জানায়, তিনি ওই মামলার আসামি। এরপর আমরা তাকে আটকে রাখি এবং মামলার বাদীকে খবর দিই। পরে বাদী ১১ জন সাক্ষীসহ থানায় এসে জানান এই হাবিবুর মামলার আসামি নন। এরপর আমরা তাকে ছেড়ে দিই। বিভ্রান্তির কারণে এমনটা হয়েছে।