বিএসসির নতুন জাহাজে প্রাধান্য পাবেন দেশিয় মেরিনাররা

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনে (বিএসসি) ৬টি নতুন জাহাজ যুক্ত হবে। এসব জাহাজে নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশিয় মেরিনারদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রামের ৫৮তম ব্যাচ ক্যাডেটদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ (গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মেরিন একাডেমির অবকাঠামো উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। এই একাডেমি অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে স্থাপিত। এখানকার অনেক বিল্ডিং সংস্কার করতে হবে এবং আরও কিছু ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন। সবশেষে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেশি-বিদেশি শিপিং করপোরেশনগুলোর সঙ্গে কথা বলছি যাতে আমাদের মেরিনারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। ইতোমধ্যে আমাদের মেরিনাররা বিভিন্ন দেশে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রশিক্ষণ শেষ করা ক্যাডেটদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্যাডেটরা প্রশিক্ষিত হয়ে দেশি-বিদেশি সমুদ্রগামী জাহাজে যোগদান করবেন। এসব ক্যাডেট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। এবার ৩০ জন নারী ক্যাডেট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন, যা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট (ভারপ্রাপ্ত) ক্যাপ্টেন মো. ইবনে কায়সার তৈমুর বলেন, মেরিন একাডেমি একটি আন্তর্জাতিকমানের ক্যাডেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে হাতেকলমে মেরিনারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিভিন্ন বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে জানানো হয়, মেরিন একাডেমির ৫৮তম ব্যাচের ২৩৮ জন ক্যাডেট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে সমুদ্রে পদার্পণ করতে যাচ্ছেন। এ ব্যাচের নটিক্যাল শাখায় ১১৮ জন ও ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ১২০ জন দুই বছর ধরে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।
অনুষ্ঠানে ৫৮তম ব্যাচ ক্যাডেটদের মধ্যে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য মো. মিনহাজ সাদমানকে রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদকে ভূষিত করা হয়। এবং এ বছর সমাপনী পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরধারী নৌ শাখার মো. ইবনে ফয়সাল তানভীর মজুমদার ও প্রকৌশল শাখায় ইফাদ হাসান অনীককে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের রৌপ্যপদক দেওয়া হয়।