বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় বাধার অভিযোগ

37

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে বিএনপির মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজলের ধানের শীষের কার্যালয় ভাংচুর এবং নৌকার প্রতীকের প্রার্থীর নেতৃত্বে কর্মীদের ওপর হামলা ও পুলিশের বাধার অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া পাল্টা কর্মসূচি ও পুলিশের নিষেধাজ্ঞার কারণে গতকাল মঙ্গলবার রামুতে তার নির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি বাতিল করতেও বাধ্য হন বলেও জানা গেছে।
বিএনপি প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ধানের শীষের কর্মীদের উপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলা ততই বেড়ে যাচ্ছে। হামলায় খোদ আওয়ামীলীগ প্রার্থী নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কোথাও তিনি গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করলেই, সেখানে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকার প্রার্থী। আর এসব ঘটনা পুলিশকে জানানো হলেও তারা সে ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে প্রচারণা বন্ধ রাখতে বলছেন। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তিনি রামুর গর্জনীয়া ও কচ্ছপিয়ার নির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি বাতিল করতেও বাধ্য হন।
তিনি বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বে হামলা চলছে, অন্যদিকে চলছে পুলিশের মামলা-হামলা ও গ্রেপ্তার-হয়রানি।
বিএনপি প্রার্থী কাজল আরো বলেন, মঙ্গলবার বিকালে ও সন্ধ্যায় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ কর্মীরা মিলে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে ধানের শীষের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ভাংচুর করে। এ সময় নারী-শিশুসহ ৩০ জনের বেশি আহত হয়। এর আগে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঈদগড় বাজারে ধানের শীষের প্রচারণাকালে পুলিশ প্রচারণাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। একইদিন বিকাল চারটার দিকে রামুর খুনিয়াপালং-এর ধোয়াপালং থেকে বিএনপি কর্মী আবদুর রহমানকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং অমানুষিক নির্যাতন চালায়। আর সোমবার রাতে ঈদগড় ও গর্জনীয়ার থিমছড়িতে ধানের শীষের নির্বাচনী অফিস ভাংচুরে সরাসরি সরকারদলীয় প্রার্থী নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি প্রার্থী আরো অভিযোগ করেন, নৌকার কর্মীদের রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানোর পর থেকে রাতব্যাপী বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের হামলা চালানোর জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল। যারা নৌকায় ভোট দেবে না তাদেরকে তালিকাভূক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন নৌকার প্রার্থী।
বিএনপি প্রার্থী আরো অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থী ঈদগড়ের নির্বাচনী সভা থেকে ফেরার পথে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গর্জনীয়ার থিমছড়ি বাজারের নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর চালান। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার, পুলিশসহ নির্বাচন কমিশনে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।