বিএনপি নির্বাচন দিতে চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেবে না

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখনই চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেবে না বিএনপি। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেবে দলটি। সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্তে সবাই একমত হন।
সূত্র জানিয়েছে, এ বৈঠকে আরও দুটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একটি হলো, ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর হত্যাযজ্ঞের পুনঃতদন্ত চেয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি করবে বিএনপি। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ হয়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন শহীদ হন। অন্যটি হচ্ছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর সাড়ম্বরে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়া প্রয়োজন।ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রশাসনসহ আর্থিক খাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা দেশবাসীকে আশান্বিত করছে। বিএনপি এই সরকারকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেবে না দলটি। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি করেন। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেন। এখন দলটি আগের অবস্থান নরম করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, মাত্র অল্প কদিন দিন হলো একটি সরকার হয়েছে। এখনই বিএনপি সময় বেঁধে দেবে কেন? এটা অশোভন এবং অনুচিত। আমাদের চাইতে হবে না, সময় হলে তারাই নির্বাচনের ঘোষণা দেবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রশাসনসহ আর্থিক খাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যা দেশবাসীকে আশান্বিত করছে। বিএনপি এই সরকারকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে।
সোমবারের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির নতুন দুই সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে অভিনন্দন জানানো হয়। গতকাল দুপুরে নবনিযুক্ত এই দুই সদস্যকে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। এ সময় দলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা সেখানে দোয়া ও মোনাজাত করেন।