প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা পাঁচটি বাস রিকুইজিশন করতে সাহায্য করেছে। কিন্তু এই বাসগুলোর কোনও ধরনের পেট্রোলের খরচ, যাতায়াত খরচসহ কোনও খরচই ডিসি অফিস থেকে দেওয়া হয়নি। গতকাল শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
শফিকুল আলম বলেন, ডিসি আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পিরোজপুর শাখা এবং নাগরিক কমিটি তাদের কাছে বাস রিকুইজিশনের জন্য জানিয়েছেন। এজন্য তারা ডিসির কাছে চিঠিও দিয়েছেন। এর সঙ্গে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন এবং নিহতদের পরিবার সবাই মিলে এসে জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছিলেন। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে এক প্রকার চাপে তারা পাঁচটি বাস রিকুইজিশন করতে সাহায্য করেছে। কিন্তু এই বাসগুলোর কোনও ধরনের পেট্রোলের খরচ, যাতায়াত খরচসহ কোনও খরচই ডিসি অফিস থেকে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে কোনও সম্পৃক্ততা ডিসি অফিসের ছিল না।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি যে, এই ধরনের ঘটনা আরও কোথাও পুনরাবৃত্তি হয়েছে কিনা।
প্রেস সচিব বলেন, পিরোজপুরের পাঁচটি বাস রিকুইজিশন করা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ আসছে যে, পিরোজপুরের ডিসি অফিস এই কাজে সহায়তা করেছেন। এটার কিছু অভিযোগ আমাদের উদ্দেশ্যেও এসেছে যে, হয়তো অন্তর্বর্তী সরকার এই বাসগুলো রিকুইজিশন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। আমি এখানে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকারের এখানে কোনও ভূমিকা নেই।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি মন্ত্রী পরিষদ সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও ভূমিকা নাই। অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে, সব রাজনৈতিক দলের জন্য এই সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করছে। যাতে সুন্দর একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সব দল অংশ্রগ্রহণ করতে পারে। এটা হচ্ছে আমাদের মূল দায়িত্ব। সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমরা সমান। সেই জায়গা থেকে যা বলা হচ্ছে, সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত বলে আমরা মনে করি।