নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার মাইজপাড়া এলাকা থেকে মো. হারুন রশিদ নামে অপহৃত এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে রাউজান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার এবং অপহরণে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে।
সিএমপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুক্তিপণ দেয়ার জন্য ফাঁদ পেতে অপহরণকারী চক্রের যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন আল ফয়জুল আলম ওরফে রবিউল (৩৫), মো. সোহানুর রহমান (২৮), মো. সাদেকুল আলম (২৯), মো. লোকমান শরীফ (৩৫), মো. শফিকুল ইসলাম বাপ্পী (৩০) এবং মো. আরমান ওরফে মানিক (৪৪)।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার মাইজপাড়া এলাকায় পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ৫৩ বছর বয়সী ব্যবসায়ী মো. হারুন রশিদ। হঠাৎ একটি রূপালী রঙের প্রাইভেটকার এসে তাদের সামনে থামে। গাড়ি থেকে তিনজন নেমে আসে। সঙ্গে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা আরও আট-নয় জন অপহরণকারী দলের সদস্য কিছু বুঝে ওঠার আগেই হারুন রশিদকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর অপহরণকারীরা ভিকটিমের মোবাইল থেকে তার স্ত্রীর ফোনে কল দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ৪ লাখ টাকা দাবি করে।
ঘটনার খবর পেয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে। থানার এসআই জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় বুধবার ভোর রাতে হাটহাজারী থানার দরবার হোটেল এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা ছয় অপহরণকারী আটক করা হয়। এ সময় একটি প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করে, ভিকটিমকে রাউজানের সুলতানপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে সেখানে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। পুলিশের টানা অভিযানের একপর্যায়ে বুধবার সকালে রাউজান উপজেলার হলুদিয়া ইউনিয়নের রহমানিয়া মাদ্রাসার পাশ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী মো. হারুন রশিদকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পলাতক অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।