বায়েজিদে পুলিশ দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর বায়েজিদ এলাকায় এক পুলিশ সদস্যের বাসায় ঢুকে তাকে মারধর ও তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি এবং বাসায় থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (১১ আগস্ট) নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন চৌধুরীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটলে বিষয়টি গত রবিবার (১৮ আগস্ট) জানাজানি হয়।
ঘটনায় আহত ওই পুলিশ সদস্য হলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্ণফুলী থানায় কর্মরত কনস্ট্যাবল ফৌজুল করিম। ঘটনার পর ওই পুলিশ সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে এবং তার স্ত্রীও একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলার সময় ওই পুলিশ সদস্য সারা দেশের অন্যান্য পুলিশের মতো কর্মবিরতিতে ছিলেন।
তথ্যমতে, ওই ঘটনায় গত ১২ আগস্ট নগরীর বায়েজিদ থানায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়- ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্য ফৌজুল স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়তে যান। এ সময় ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী কিরিচ, চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে ফৌজুলের বাসায় এসে তাকে খুঁজতে থাকে। এসময় স্বামীকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির পাশাপাশি মারধর, ঘরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ফেলে। ঘটনা শুনে তখন ওই পুলিশ দ্রæত বাসায় আসেন। একই সময় হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে পুলিশ সদস্যকেও পিটিয়ে জখম করার পর হুমকি দিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর টহল টিমকে খবর দিলে তারা রকিবুল ইসলাম সেলিম ও মো. ফরহাদ ওরফে সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
স্থানীয়রা জানান, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির অনুসারী হিসেবে পরিচিত রাকিবুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার পর ফোনে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময় হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজয় কুমার সিনহা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ সদস্যকে মারধর, লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।