বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবান ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইউনুছের নামে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, অনিয়ম, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে পুনরুজ্জীবিত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বান্দরবানের সর্বস্তরের নাগরিক সমাজ। মঙ্গলবার সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, প্রত্যন্ত বান্দরবান জেলায় দ্বীনি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের মহৎ লক্ষ্য নিয়ে আলহাজ্ব ইউনুস রাহমাতুলাহ আলাইহী ১৯৮৭-৮৮ সনে বান্দরবান সদর উপজেলার বনরূপা এলাকায় ‘ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র’ নামে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং নির্মাণের পর ১৯৮৯-৯০ সনে ‘ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রটি” চালু হয়। প্রতিষ্ঠানটি চালু হওয়ার পর আমাদের ছেলেমেয়েরা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাবে- এ আশায় অত্যন্ত আশান্বিত হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের প্রান্তে এসে পৌঁছেছে।
বক্তারা আরো বলেন, আলহাজ্ব ইউনুস সাহেব রাহমাতুল্লাহ আলাইহী ইন্তেকাল করার কিছুদিন পর তারই ছেলে হোসাইন গায়ের জোরে তার পৈত্রিক সম্পত্তির মত ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালকের পদটিও দখল করে নেন। বর্তমানে তিনি তার বিশ্বস্থ ও অনুগত লোকজন নিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেন। পরিচালকের সুযোগ নিয়ে হোসাইন স্বেচ্ছাচারী, এক গুয়েমি সিদ্ধান্ত, অদক্ষ পরিচালনা ও শিক্ষাকেন্দ্রের সম্পদ ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করার কারণে ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রটি বর্তমানে একটি অকার্যকর ও অচল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তার নির্দেশে ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্রে নির্মিত সুবিশাল দরজাটিও বেশিরভাগ সময় বন্ধ রাখা হয় যার কারণে নামাজিরা নামাজ পড়তে বাঁধার সম্মুখীন হয়। তাই বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের বর্তমান স্বৈরতান্ত্রিক, অর্থ আত্মসাতকারী পরিচালনা পর্ষদ বাতিল ঘোষণা করা এবং জেলা প্রশাসককে পদাধিকার বলে সভাপতি করে বান্দরবান জেলার সচেতন ইসলামী ব্যক্তিবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দের সমন্বয়ে একটি নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে ইসলাম শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা করার দাবি জানান নাগরিক সমাজ। এসময় বান্দরবানের সর্বস্তরের নাগরিক সমাজের মো. মজিবর রহমান, মোঃ আবুল বশার, মো. জাকারিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।