বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে ৫৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে ১৮ জন নারীও রয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকালে রুমা উপজেলার বেথাল পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর আগে দুপুরে একই পাড়া থেকে কেএনএফ এর সক্রিয় ২ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ তাদের ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, যৌথ বাহিনীর একটি দল গতকাল সোমবার রুমা উপজেলার বেথেল পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সন্দেহভাজন ৫৩ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বান্দরবান সদর থানায় নিয়ে আসা হয়।
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে কেএনএফ এর সক্রিয় ৩ সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এসময় ব্যাংক ডাকাতির সময় ব্যবহৃত এক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। রবিবার রাতে রুমা ও থানচি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুমা ব্যাথেল পাড়া সেনা অভিযানে সাতটি দেশিয় বন্দুক, ২০টি কার্তুজ, কেএনএফ এর ইউনিফর্ম, বিভিন্ন বিপুল সরঞ্জাম, সাথে সন্দেহভাজন হিসেবে রুম সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার ও এএনএফ এর ২ সদস্য আটক করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন রুমার সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এম আরাফাত আমিন। এদিকে রুমা-থানচি উপজেলায় কেএনএফ এর লাগাতার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দমনে যুক্ত করেছে সাঁজোয়া যান। এরই অংশ হিসেবে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় আনা হয়েছে বিশেষ সাঁজোয়া যান। যা দিয়ে এ দুই উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল দেবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এই সাঁজোয়া যান হচ্ছে যুদ্ধে ব্যবহৃত একপ্রকার অস্ত্র সজ্জিত যানবাহন, যা মূলত পদাতিক বাহিনীকে যুদ্ধের ময়দানে আসা-যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, রবিবার গভীর রাতে রুমা ও থানচিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কেএনএফ এর ৩ সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন ব্যাংক ডাকাতির সাথে সরাসরি জড়িত এবং ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। সাথে ড্রাইভারকেও আটক করা হয়। তিনি আরো বলেন, উপজেলাগুলোতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চারটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও বাড়ানো হবে। চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ সাঁজোয়া যানগুলো রুমা-থানচি উপজেলায় ব্যবহার করা হবে।
এদিকে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী বলেন, ব্যাংক ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা, অস্ত্র ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।