বান্দরবানে ভারী বৃষ্টিতে বাড়ছে পাহাড়ধসের শংকা

1

বান্দরবান প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টিপাত ও ভারী বর্ষণের ফলে বান্দরবানে বাড়ছে পাহাড় ধসের শংকা। গতকাল রবিবার ভোর থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী বাসিন্দারা। তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে মাইকিং।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের জন্য জেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেকোনো দূর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় খোলা হয়েছে সার্বক্ষণিক মনিটরিং সেল।
জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারনে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় বিভিন্ন সড়কে পাহাড়ের মাটি ধসে ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। কোথাও কোথাও সড়কের বিভিন্ন অংশ ধসে গেছে। তবে জেলার সাথে সাতটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারনে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া অনেকেই বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে পারছেন না। কোরবানীর ঈদ ঘনিয়ে এলেও বৃষ্টির কারনে পশুর হাটেও পশু বিক্রির জন্য বা কাজ করতে যেতে পারছেন না। ফলে পশুর বাজার জমে না ওঠায় ক্রেতা ও খামারীরাও পড়েছেন বিপাকে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সর্বশেষ ৮৭ মিরিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রবিবার। এছাড়াও টানা বৃষ্টিপাত আরো কয়েকদিন স্থায়ী হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড় ধ্বসসহ জলাবদ্ধতার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে লামা উপজেলার ৬০টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ভারী বর্ষণে পাহাড়ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় লামা উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র মিরিঞ্জা রেঞ্জ ও শুখিয়া দুখিয়া ভ্যালিতে অবস্থিত এসব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গতকাল রবিবার দুপুরে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জরুরি সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই নির্দেশনা জারি করেন।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টানা ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সাথে পাহাড়ি এলাকার সড়কগুলো বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঠেকাতে ও পর্যটকদের জীবন রক্ষায় উপজেলার তিনটি স্থানের ৬০টি পর্যটনকেন্দ্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যটকরা যাতে এই বৈরী আবহাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যেতে ও অবস্থান করতে না পারেন সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।