বান্দরবান প্রতিনিধি
দীর্ঘ দু’বছরেও বান্দরবানে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠলে পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী পাহাড়ি-বাঙালি শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে কারিগরি কাজ শিখে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে। সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থায়নে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ২৩টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তার মধ্যে বান্দরবান জেলায় ২০২৩ সালে ৫ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণের জন্য সম্ভাব্য একাধিক জমি পরিদর্শন করে সার্ভেয়ার টিম। সবশেষে গতবছরের নভেম্বরে (২০২৪ সালের) বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের চা-বোর্ডের পাশ্ববর্তী এলাকায় পাঁচ একরের প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির সমতল জমি পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে ভূমি অধিগ্রহণ যাচাই-বাছাই কমিটি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ৪ মাসেও প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দার ফিরোজ আলম, সাব্বির আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, বান্দরবান জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য জন্য পরিদর্শন করা মাঝেরপাড়া এলাকায় চা-বোর্ডের পাশ্ববর্তী ভূমিটি শিক্ষার জন্য শতভাগ উপযুক্ত। এখানে আশপাশে ইতিমধ্যে গড়ে উঠেছে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ সেন্টার (পিটিআই), মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস), রেডক্রিসেন্ট হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তাই দ্রুত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরুর দাবি জানাচ্ছি।
অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তুত জমির মালিক মো. ইদ্রিছ চৌধুরী ও তানজিনা আফরিন বলেন, সদর উপজেলার সুয়ালক মৌজার খতিয়ান নং-১৭৫, হোল্ডিং নং-৫১০, হোল্ডিং নং-৫১৩ এর আন্দর ৫ একর ১ম ও ২য় শ্রেণির সমতল জমি আমাদের কয়েকজনের নামে রেকর্ডভুক্ত রয়েছে। জমিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য পরিদর্শন করে ভূমি অধিগ্রহণ কমিটি প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছে। আমরাও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জমিটি সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছি। এখানে কারিগরি প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠলে পাহাড়ের পিছিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠীর সন্তানরা কারিগরি শিক্ষার সুযোগ পাবে, সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থানেরও।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সূয়ালকের দুইটি স্থান নির্ধারণ করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।