বাড়ির পাশে কাঁঠাল বাগান করে সফল কৃষক বাচা মিয়া

1

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

পেশায় কৃষক, শখে বৃক্ষপ্রেমী। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নেজামশাহ পাড়া এলাকার অট্টইতল নামক এক পাহাড়ি জনপদে কৃষক মুহাম্মদ বাচা মিয়া নিজের উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন এক সবুজ বাগান। শুধু শখ নয়, এবার সেই বাগান থেকেই এসেছে লক্ষাধিক টাকার ফলনের সাফল্য। ২০০৪ সালে এক হেক্টর সরকারি খাস জমিতে তিনি রোপণ করেন নানা প্রজাতির ফলজ ও ঔষধি গাছ। ১৯৯১ সালেই তার কৃষিপ্রেমের হাতেখড়ি ঘটে, যখন বাবার সঙ্গে কয়েকটি কাঁঠাল চারা রোপণ করেন তিনি। সময়ের পরিক্রমায় গাছগুলো আজ পরিণত হয়েছে সম্পদে। বিশেষ করে তার লাগানো কাঁঠাল গাছগুলো এবার দিয়েছে বাম্পার ফলন। বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক কাঁঠাল গাছের প্রতিটিতে ২০ থেকে ৩০টি কাঁঠাল ধরেছে। এর মধ্যে দু’টি গাছে রয়েছে প্রায় ৪০০টি করে কাঁঠাল, যা অভাবনীয় ফলন হিসেবে বিবেচিত।
আদর্শ এই বাগানে রয়েছে ১০০টি কাঁঠাল গাছ, ১০০টি আমগাছ, ৬০টি পেয়ারা গাছ, ৫টি গোলাপজাম, ৫টি দেশীয় জাম, ২৫টি সুপারি গাছ, লিচু, সেগুন এবং বড়সড় বেশ কয়েকটি বাঁশঝাড়। এই বাগান থেকে তিনি ইতোমধ্যেই বিক্রি করেছেন প্রায় ৫০ হাজার টাকার কাঁঠাল, ৩০ হাজার টাকার আম এবং ২০ হাজার টাকার বাঁশ।
বাচা মিয়ার ভাষায়, ‘আমি প্রতিবছর এই বাগান থেকে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার মতো আয় করি। সরকারি সহযোগিতা পেলে এ উদ্যোগকে আরও বড় করতে চাই’।
বাঁচা মিয়ার এই প্রচেষ্টা শুধু তার জীবিকার উন্নয়ন নয়, বরং স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। প্রমাণ করেছে, পরিকল্পিতভাবে চাষাবাদ করলে পাহাড়ি জমিতেও কৃষিতে সাফল্য অর্জন সম্ভব। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, কাঁঠাল বাগানটি করে সফলতা পেয়েছেন বাগানটির মালিক। কাঠাল বাগান যারা করেছেন তাদেরকে আমরা পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি।