পটিয়া সম্মিলিত বর্ষববরণ
সাংস্কৃতিক পরিষদ
‘ফিলিস্তিনে অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধ হোক, নিপীড়িত ফিলিস্তিনের জয় হোক’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে পটিয়া সম্মিলিত বর্ষববরণ সাংস্কৃতিক পরিষদ-১৪৩২ বাঙলার উদ্যোগে বর্ষবরণ উদযাপন করা হয়েছে।
পটিয়া গন্ধর্বসঙ্গীত বিদ্যালয়, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, শিল্পচর্চা সঙ্গীত বিদ্যায়তন, নৃত্যাঞ্চল সাংস্কৃতিক একডেমি, ছায়াবিথী সঙ্গীত বিদ্যায়তন, মালঞ্চ সাহিত্যগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে-সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, তবলা লহড়ার মাধ্যমে ১৪ এপ্রিল সকাল ৯টায় পটিয়া কর্ণফুলী কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পটিয়া আইনজীবি সমিতির সভাপতি আশীষ কুমার চৌধুরী।
পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চারুকলা কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর আবদুল আলীম। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ ও বাঙলা নববর্ষ বাঙালি জনগণের জীবনাচরণের সংস্কৃতি এবং চাষাবাদ-উৎপাদনের মাধ্যমে অস্তিত্বরক্ষার মূল উৎস। তাই বাঙলা বর্ষবরণের উৎসব বাংলার জনপদের সকল ধর্ম-বর্ণ-আলোড়িত ও উদ্দীপিত করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চারণ উপদেষ্টা স ম ইউনুচ, অধ্যাপক অজিত মিত্র, সেলিম উদ্দিন, পটিয়া সম্মিলিত বর্ষববরণ সাংস্কৃতিক পরিষদের সদস্য সচিব পুলক ভট্টাচার্য্য, শিক্ষক শ্যামল দে, সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক, শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক শিবু কান্তি দাশ, অধ্যাপক ভগীরথ দাশ, কো-চেয়ারম্যান সমর বিশ্বাস, মুবিনুল হক সাব্বির, অলক দাশ, সহকারী প্রধান শিক্ষক পিযুষ পাল, শিক্ষক শাহনাজ বেগম, মহিলা ফোরামের নেত্রী শাহনাজ বেগম, সাংবাদিক আহমদ উল্লাহ, নুরুল করিম, আহমদ নুর, জসীম উদ্দিন জীসু, আবদুর রহমান রুবেল, পলাশ রক্ষিত, এডভোকেট রিয়াদ, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে শিক্ষক মনি পুরোহিত, শিল্পী শর্মিলী দেব, নৃত্য প্রশিক্ষক অমিত চক্রবতী ও অন্যান্য নেতৃবর্গ। উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সচিব অলক চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় দলীয়, একক সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও তবলা লহড়ায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সংগঠন। এছাড়া সঙ্গীতশিল্পী ছন্দা রানী চৌধুরী একক সঙ্গীত পরিবেশন করে এবং শিশুশিল্পী সিদরাতুল মুনতাহা ওহি আঞ্চলিক ছড়া আবৃত্তি করে অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা যোগ করেন। উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট খুরশীদ আলম বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির ধারক-বাহক। এর মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতিসত্তার পরিচয় ফুটে ওঠে।’ নববর্ষের ঐতিহ্য ও প্রচলিত সংস্কৃতির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানে অতিথিদের পান্তাভাত দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
সন্দীপনার বর্ষবিদায় ও বরণ
সন্দীপনা সাংস্কৃতিক ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদের সঙ্গীত, নাটক, আবৃত্তি, নৃত্য, চারুকলা ও লোককলা বিভাগের যৌথ আয়োজনে বর্ষ বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান ‘বাঙালির সৃজন-স্বজন মেলা’ উপলক্ষে দু’দিনের কর্মসূচি সংগঠনের দোস্ত বিল্ডিংস্থ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যুষে প্রভাতফেরীর মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সূচিত হয়। কর্মসূচিতে ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠান, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, একক সঙ্গীত ও কবিতা পাঠের আসর। সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী ভাষণ প্রদান করেন সন্দীপনার কেন্দ্রীয় সভাপতি বস্ত্র নকশা শিল্পী রওশন আরা চৌধুরী। নববর্ষের প্রথম দিবসে সকাল ১০টায় সন্দীপনার কার্যকরী সভাপতি বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম নবী, লায়ন দুলাল কান্তি বড়–য়া, সাংবাদিক মুকুল সিকদার, সংস্কৃতিকর্মী মুসলিম আলী জনি, চবি অধ্যাপক জাহেদ আলী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, কবি আশীষ সেন, চলচ্চিত্র অভিনেতা হুজুতুল্লাহ হিমু, প্রভাষক আখেরুন নেছা দিনা, ওস্তাদ অমলেন্দু রাহা, সংগঠক নিবেদিতা আচার্য্য, চমেক কর্মকর্তা মিলন কান্তি রুদ্র, ডা. শিউলী চৌধুরী, নাট্যকর্মী জাহানারা পারুল, কে কে বাবুল, নাট্যকর্মী পম্পী দাশ, সংগঠক মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ। শুরুতে স্বাগত ভাষণ রাখেন সন্দীপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ভাস্কর ডি.কে. দাশ মামুন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আবৃত্তি, পাঠ ও শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কনে দলের সদস্যগণ অংশ নেন। সবশেষে নাট্যকর্মী হুজুতুল্লাহ হিমু’র সঞ্চালনায় বৃন্দ আবৃত্তি, সঙ্গীত ও পাঠে অংশ নেন শিল্পী বৃষ্টি দাশ, দিদার হোসেন, অনিত কুমার নাথ, নিগার খন্দকার, সুবাহ আলমগীর হিমু, বিথী সিংহ, ডা. শিউলী চৌধুরী, রাকেশ চৌধুরী, দিয়া দাশ, অদিতি দাশ, প্রাপ্তি বনিক, মোবারক হোসেন, সুনন্দা দত্ত, সালমা বিনতে ফাইরোজ, পিংকি দত্ত, মো. মিজান প্রমুখ।
তেকোটা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান
তেকোটা প্রতিভা কর্তৃক ১৪ এপ্রিল সারাদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে সকাল বেলা প্রভাতফেরি, ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও বিকেল ৩টায় শোভাযাত্রা উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তেকোটা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপম বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আশীর্বাদক ছিলেন তেকোটা সদ্ধর্ম বিকাশ বিহারের অধ্যক্ষ শরণ সেন মহাথেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ধর্ম সেবাসদনের পরিচালক বিশ্ব মিত্র মহাথেরো, তেকোটা সদ্ধর্মোদয় বিহারের অধ্যক্ষ সত্যানন্দ ভিক্ষু। স্বাগত বক্তব্য দেন উদযাপন পরিষদের মহাসচিব চবি শিক্ষক অধ্যাপক অরূপ বড়ুয়া, শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন তেকোটা প্রতিভার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সরিৎ চৌধুরী, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী কামনাশীষ বড়ুয়া, কো চেয়ারম্যান প্রনব বড়ুয়া, প্রতিভার সভাপতি অপু বড়ুয়া, নারী সংগঠক সঞ্চিত বড়ুয়া। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শুভাশিস বড়ুয়া, প্রিয়রঞ্জন বড়ুয়া, সবুজ বড়ুয়া পিলু, জুয়েল বড়ুয়া, সুমল বড়ুয়া, প্রতাপ বড়ুয়া, শিপলু বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া, স্বরূপ বড়ুয়া, সাথীপ্রিয় বড়ুয়া, কল্যাণ বড়ুয়া, বাপ্পা বড়ুয়া, আশীষ বড়ুয়া, রানা চৌধুরী, শোভন চৌধুরী, আকাশ বড়ুয়া প্রমুখ। দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল প্রভাতফেরি, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিকেলে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ, সংগীতানুষ্ঠান।
গাংচিল মিউজিক
সিডনিতে গাংচিল মিউজিক আয়োজিত বৃহৎ বৈশাখী মেলা গত ১২ এপ্রিল ওয়ালি পার্কে টাবু সঞ্জয়ের সার্বিক পরিচালনায় প্যারামাউণ্ট ডেভেলপমেন্ট এন্ড কন্সট্রাকসন প্রাইভেট লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায়, ওমেন কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া ও গাংচিল মিউজিক’র সহযোগিতায় বাঙালির প্রাণের বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। নাহিদা ও জুঁই এর সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীতের পর শ্যামলী দে বৈশাখের গান পরিবেশন করে। কবিতা আবৃতি করেন দেবী শাহা। কিশলয় কচিকাঁচা, আগমনী অস্ট্রেলিয়া ও বিএসপিসি বাংলা স্কুলের ছোট্ট সোনামনিরা গানে ও নাচে দর্শকদের মাতিয়ে রাখে।
উপল আমিনের সঞ্চালনায় এবং টাবু সঞ্জয় ও সাজেদা আখতার সানজিদার পরিচালনায বৈশাখী মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বাণী পাঠান অস্ট্রেলিয়া সরকারের হোম অ্যাফেয়ার্স, ইমিগ্রেশন ও মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী টনি বার্ক। বিশেষ অতিথি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এফ.এম বোরহান উদ্দিন, নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাহক, ডিজিটাল, জরুরি পরিষেবা, যুব ও বিচার মন্ত্রী জিহাদ দিব, চাকরি, শিল্প, উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছায়ামন্ত্রী এবং দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনির ছায়ামন্ত্রী মার্ক কোরে এমপি, নিউ সাউথ ওয়েলস শিল্প সম্পর্ক মন্ত্রী এবং কর্ম স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা মন্ত্রী সফি কষ্টি এমপি, ক্যান্টারবেরি-ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র কার্ল সালেহ, ক্যান্টারবেরি-ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলর র্যাচেল হারিক, ক্যাম্পবেলটাউন সিটি কাউন্সিলর মাসুদ খলিল, কাউন্সিলর আশিকুর রহমান এশ, অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেশন ফর মেডিকেল সোসাইটিজের প্রাক্তন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. আয়াজ চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মেদ জামান টিটু, ওয়াটসনের ফেডারেল লিবারেল পদপ্রার্থী জাকির আলম, অস্ট্রেলাসিয়ান ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির সিইও শ্রাবন্তী কাজী আশরাফী, সাদ ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক সুলাইমান দেওয়ান, ইউনিয়ন প্রতিনিধি রেজওয়ান চৌধুরী প্রমুখ। দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে শ্রেষ্ঠা, আর্শিতা, আনিশা হালদার মিশা, অবশোরা। গান পরিবেশন করেন নিলুফার ইয়াসমিন। ফারিয়া আহমেদের পরিচালনায় ভবের হাটের শিল্পীরা বাউল গান পরিবেশন করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় বন্ধুসভা, লাল সবুজ ও কৃষ্টি ব্যান্ড। বিজ্ঞপ্তি