রাঙামাটি প্রতিনিধি
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের কবিরপুর চুরাখালী এলাকার পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তিতে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গত বৃহস্পতিবার বিজিবির রাজনগর জোন অধিনায়ক ল্যেফটেন্যান্ট কর্ণেল নাহিদ হাসানের উপস্থিতিতে উভয় পাহাড়ি -বাঙালি উভয় পক্ষকে নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি রাজ নগর সূত্রে জানা যায়, লংগদু উপজেলার রাজনগর জোনের অধীনস্থ চুরাখালী বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক ও জজ মিয়া আদালতের মাধ্যমে পাহাড়িদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। তবে জমি বিক্রয় নিয়ে স্থানীয় পাহাড়িদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়, যা পরবর্তী সময়ে সংঘর্ষ, ভাংচুর ও মামলা পর্যন্ত গড়ায়।
গত ২০ অক্টোবর এ ঘটনায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে কয়েকটি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ তিনজন বাঙালিকে আটক করে। এতে এলাকায় আরো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এ বিষয়ে সমাধানের উদ্যোগ নেয় বিজিবি রাজ নগর জোন। একইসাথে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি পরিবারকে নগদ অর্থ, খাদ্য ও বস্ত্র সহায়তা দেয় বিজিবি।
পরে গত বৃহস্পতিবার রাজনগর জোন অধিনায়ক ল্যেফটেন্যান্ট কর্ণেল নাহিদ হাসান ও বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা মারজানের উপস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের সাথে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আজিজুল হক তার ভোগদখলীয় জমিতে বসবাস করবেন এবং জজ মিয়ার ক্রয়কৃত জমির পরিবর্তে বিকল্প জমি ও ক্ষতিপূরণ দেয়া সাপেক্ষে সমঝোতা করা হয়।
বিচারে উভয় পক্ষই সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জানান, ভবিষ্যতে তারা আর কোনো ধরনের বিরোধে জড়াবেন না। এছাড়া দায়েরকৃত দুটি মামলা আপোষ মীমাংসার করার অঙ্গীকার করে।
রাজনগর জোন অধিনায়ক ল্যেফটেন্যান্ট কর্ণেল নাহিদ হাসান বলেন, সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিজিবি পার্বত্য এলাকায় সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহাবস্থানের মাধ্যমেই শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব। বিজিবি সেই লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
