নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে ছাত্রদল কর্মী মো. সাজ্জাদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যুবদলের আরও দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ গত বুধবার রাতে মহানগর ও পটিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার দুই যুবদল কর্মী হলেন রিয়াজ করিম (৩৩) এবং মো. ইউসুফ (২৫)। তাদের কাছ থেকে সাজ্জাদ হত্যায় ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল, তাজা গুলি, গুলির খোসা ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, ‘সাজ্জাদ হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন’।
এই হত্যাকান্ডের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপ-পুলিশ কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেপ্তারি অভিযান ও অস্ত্র উদ্ধার সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়। সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘রিয়াজ ও ইউসুফকে পটিয়ার জঙ্গলখাইন এলাকা ও চান্দগাঁও থানা এলাকার মীরবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করা হয়’।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, এছাড়া ৪০ জন অজ্ঞাত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যাকাÐের পেছনে দায়ী ব্যক্তি যুবদলের নেতা বোরহান উদ্দিন ও তার সহযোগীরা, যারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাতে বাকলিয়া এক্সেস রোডের বগার বিল মুখ এলাকায় গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল কর্মী সাজ্জাদ। তিনি যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী ছিলেন। স্থানীয়দের মতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে এই যুবদল কর্মীরা যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাজ্জাদ হত্যার পূর্বে যুবদল কর্মী মো. জসিম যুবদল-যুবলীগের কিছু নেতার ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার খুলে ফেলার কারণে রাত ২ টার দিকে তাকে অপহরণ করে মারধর করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা জসিমকে ছাড়াতে গেলে বোরহান ও তার সহযোগীরা তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে সাজ্জাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।











